আবেদনের যোগ্যতা
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এ পদে আবেদন করতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই এসএসসি পাস বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। আর বয়স সাধারণ ও অন্যান্য কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১ জুলাই ২০১৬ তারিখে ১৮ থেকে ২১ বছরের মধ্যে হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ক্ষেত্রে বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছর হলে আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক ও অবিবাহিত হতে হবে এবং প্রার্থী যে জেলার বাসিন্দা, কেবল সেই জেলার প্রার্থী হিসেবে এ পদে নিয়োগের জন্য উপস্থিত হতে হবে। আর শারীরিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে পুরুষ প্রার্থীদের উচ্চতা কমপক্ষে ১.৬৭ মিটার, বুক কমপক্ষে ৮১.২৮ সেমি এবং ওজন কমপক্ষে ৫২ কেজি হতে হবে। অন্যদিকে, মহিলা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা কমপক্ষে ১.৫৭ মিটার, বুক ৭৬.৮১ সেমি এবং ওজন কমপক্ষে ৪৫ কেজি হতে হবে।
পরীক্ষা পদ্ধতি
প্রার্থীদের প্রথমে শারীরিক মাপ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের একই দিনে দেড় ঘণ্টার ৭০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, লিখিত পরীক্ষার বিষয় থাকবে চারটি-বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান। কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এসএসসি উত্তীর্ণের প্রশ্নের মান যে ধরনের হয়ে থাকে, লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন তেমনই হবে।’ লিখিত পরীক্ষায় ভালো করতে হলে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পাঠ্য বইগুলো ভালোভাবে পড়লে ভালো করা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের আবার ৩০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। উভয় পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যূনতম ৪৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাস হতে হবে। তবে জেলার নিয়োগযোগ্য প্রকৃত শূন্যপদের বিপরীতে কোটাভিত্তিক মেধাক্রম অনুযায়ী প্রার্থীদের প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
বাছাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকালে প্রার্থীকে প্রতিটি সার্টিফিকেটের মূল কপির সঙ্গে অতিরিক্ত ১ কপি সত্যায়িত ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে। এ ছাড়া নমুনা ফরমের অনুকরণে পূরণকৃত আবেদনপত্রের সঙ্গে সর্বশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত চারিত্রিক সনদের মূল কপি, জেলার স্থায়ী বাসিন্দা প্রমাণস্বরূপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার মেয়র বা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে স্থায়ী নাগরিকত্ব সনদের মূল কপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি, ৩ কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি এবং কারা মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ, ঢাকার অনুকূলে পরীক্ষার ফি বাবদ ১০০ টাকা সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় ১-২২৫১-০০০০-২০৩১ নম্বর কোডে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা করে চালানের মূল কপি আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি
চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত একজন কারারক্ষী জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী ৯ হাজার টাকা স্কেলে বেতন পাবেন। এ ছাড়া বিধি মোতাবেক প্রাপ্য অন্যান্য ভাতাসহ কারা অধিদপ্তরাধীন বিভিন্ন কারাগারের জন্য নির্ধারিত বিনা মূল্যে পোশাকসামগ্রী, ঝুঁকিভাতা, চিকিৎসা সুবিধা, নিজ ও পরিবারের নির্ধারিত সংখ্যক সদস্যদের জন্য স্বল্পমূল্যে পারিবারিক রেশনসামগ্রী সুবিধা পাওয়া যাবে। আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, একজন কারারক্ষী তাঁর দক্ষতা ও যোগ্যতা এবং বিভিন্ন বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী প্রধান কারারক্ষী, প্রধান কারারক্ষী, সর্বপ্রধান কারারক্ষী, সার্জন ইন্সপেক্টর পর্যন্ত হতে পারেন।