ক্যারিয়ার ইনটেলিজেন্স : একজন আদর্শ শিক্ষকই জাতির মেধা গড়ার কারিগর। তাই তাকে হতে হবে আর দশটি মানুষের তুলনায় সেরা। কেননা তাকে দেখেই শিখবে আগামী প্রজন্ম। আসুন জেনে নিই একজন আদর্শ শিক্ষকের ৭টি বৈশিষ্ট্য।
১. সবসময় প্রস্তুত থাকেন
একজন আদর্শ শিক্ষক নিজেকে সবসময় প্রস্তুত রাখেন। ছাত্রছাত্রীদের যেকোনো সমস্যার সমাধানে যেন তিনি এগিয়ে আসতে পারেন সে বিষয়ে সতর্ক থাকেন এবং তাদের সার্বিক প্রয়োজনে সাহায্য করে থাকেন।
২. সবসময় পড়াশোনার মধ্যে থাকেন
একজন আদর্শ শিক্ষক নিজেকে সবসময় ব্যস্ত রাখেন পড়াশোনার মাঝে। তার অনেক বেশি জানার আগ্রহ থাকে। যেন তিনি তার জ্ঞানটুকু ছাত্রদের মাঝে বিলিয়ে দিতে পারেন। তারা পড়তে অনেক বেশি ভালোবাসেন।
৩. সব ধরনের পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেন
এমন অনেক মানুষ আছে যারা যেকোনো পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন না। ফলে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন। কিন্তু একজন আদর্শ শিক্ষক নিজেকে এমনভাবে প্রস্তুত করে ফেলেন যেন যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে খুব সহজে মানিয়ে নিতে পারেন এবং যেকোনো পরিবর্তনে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেন।
৪. ছাত্রছাত্রীদের সত্যের পথে চালিত করেন
একজন আদর্শ শিক্ষক তার ছাত্রছাত্রীদের সবসময় সত্যের পথে চালিত করে থাকেন। কেননা তার কাছে অন্যায়ের কোনো আশ্রয় নেই। তিনি ছেলেমেয়েদের সবসময় ন্যায়ের সাথে চলতে পরামর্শ দেন এবং সত্যের আদর্শে নিজেদের গড়ে তুলতে নির্দেশ দেন।
৫. ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দেন
একজন আদর্শ শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের একটি নির্দিষ্ট উপায়ে পড়িয়ে থাকেন এবং সবসময় উৎসাহ দিয়ে থাকেন। তিনি ভালো করে জানেন যে, উৎসাহ ছাড়া একজন শিক্ষার্থী ভালোভাবে এগোতে পারে না। এ কারণে ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণে তিনি উৎসাহ দিয়ে থাকেন সঠিকভাবে এগিয়ে যেতে।
৬. ছাত্রছাত্রীদের সাথে আত্মিক বন্ধন তৈরি করেন
একজন আদর্শ শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের সাথে এক ধরনের আত্মিক বন্ধন তৈরি করে ফেলেন। যার ফলে ছাত্রছাত্রীরা যেকোনো সমস্যায় শিক্ষকের কাছে চলে যায় এবং তিনি তা খুব সহজ উপায়ে সমাধান করে দেন।
৭. আনন্দের সাথে পড়ান
একজন আদর্শ শিক্ষক ভালোভাবেই জানেন- কোন উপায়ে ছাত্রছাত্রীদের পড়ালে তারা বিষয়টিকে খুব সহজই গ্রহণ করতে পারবে ও বিরক্তিকর মনে হবে না। তাই তিনি পড়ানোর মাধ্যমটিকে আনন্দময় করে তোলেন। এতে করে ছাত্রছাত্রীরা অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠে এবং পড়ায় মনোযোগী হয়।