দুই মেরুর বিশ্বের রাশিয়া ছিল এক মেরু। সোভিয়েত ইউনিয়ন যাকে বলা হতো। আজকে আমেরিকা একক শক্তিধর হয়ে উঠলে রাশিয়ার সেই শক্তি সামর্থ্য না থাকলেও শিক্ষাদীক্ষায় রাশিয়া যে একেবারে পিছিয়ে আছে তা কিন্তু নয়। এখানে যেমন রয়েছে উচ্চশিক্ষার জন্য হাজারেরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তেমনি এখানকার পড়াশোনার মানও বিশ্বস্বীকৃত। এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো রাশিয়ায় শিক্ষা ব্যয়ও কম। ফলে বিদেশী শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমাচ্ছেন রাশিয়ায়। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও চাইলে উচ্চশিক্ষার জন্য বেছে নিতে পারে রাশিয়াকে।
শিক্ষাব্যবস্থা :
উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে রাশিয়ায় রয়েছে ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট, টেকনিক্যাল কলেজ, একাডেমি ইত্যাদি। এসব প্রতিষ্ঠানে অনার্স, মাস্টার্স, ডিপ্লোমা ও পিএইচডি কোর্স মেয়াদ বলা চলে আমাদের মতো অনার্স চার বছর, মাস্টার্স ১-২ বছর। ডিপ্লোমা তিন বছর।
ভাষা মাধ্যম :
‘রুশ’ রাশিয়ার অফিসিয়াল ভাষা। প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই ‘রুশ’ ভাষায় শিক্ষা প্রদান করে। এ জন্য রাশিয়ার উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহীদের অবশ্যই রুশ ভাষা শিখতে হয়। ঢাকায় ধানমন্ডির রাশিয়ার কালচারাল সেন্টার থেকে রুশ ভাষা সহজে শেখা যায়।
যেসব বিষয়ে পড়া যায় :
ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়গুলোর জন্য বলা যায় রাশিয়া আদর্শ। এর অন্তর্ভুক্ত বিষয় যেমন ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, অ্যারোনটিক্যাল ইত্যাদি। তবে ডাক্তারিও এখানে ভালো পড়ানো হয়। এর বাইরে যেসব বিষয় এখানে পড়া যায় তার মধ্যে কয়েকটি হলোÑ ম্যানেজমেন্ট, বিজনেস, অ্যাকাউন্টং, আর্কিটেকচার, বিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রি, কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি, আর্ট, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, হিস্ট্রি, কেমিস্ট্রি, কম্পিউটার সায়েন্স, বায়োলজি, জার্নালিজম, ল, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স, ম্যাথম্যাটিক্স, ফিন্যান্স, মিউজিক, ফিলোসকি, পলিটিক্যাল সায়েন্স, ট্যুরিজম, সোসিওলজি, মার্কেটিং, ইনফরমেশন সায়েন্স ইত্যাদি।
আবেদন ভর্তি ও ভিসা প্রসেসিং :
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণেচ্ছুদের রাশিয়ান কালচার সেন্টারে যোগাযোগ করতে হবে। এ সেন্টারই এখানে তাদের উচ্চশিক্ষার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি প্রার্থী কোনো বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ করলে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ইন্টারভিউ নেয় রাশিয়ান কালচারাল সেন্টার। ইন্টারভিউতে যোগ্য হলে এস সেন্টার তাকে একটা নিউজ লেটার ইস্যু করে। যার মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিংয়ের কাজ শুরু হয়। এ জন্য প্রার্থীকে অ্যাকাডেমিক শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, সেন্টার কর্তৃক প্রদত্ত অনুমতিপত্র, মেডিক্যাল সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট, আর্থিক সামর্থ্যরে সনদপত্র ইত্যাদি কাগজপত্র জমা দিতে হয়। সেপ্টেম্বরে পড়াশোনার জন্য রাশিয়ান কালচার সেন্টারের কাজ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই শেষ করতে হয়। এরপর মে/জুনে অ্যাম্বেসির কাজ শেষ হলে জুলাই/আগস্টে ভিসা হয়ে যায়।
পড়াশোনাও থাকা খাওয়ার খরচ :
রাশিয়ায় পড়াশোনাও থাকা খাওয়ার খরচ অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। সাধারণ বিষয়গুলোতে পড়াশোনা করতে বাংলাদেশী টাকায় বছরে খরচ হবে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা। অবশ্য মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের খরচ কিছুটা বেশি এক লাখ টাকা থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত। রাশিয়ায় একজন শিক্ষার্থীর থাকা খাওয়াও বিভিন্ন ইন্স্যুরেন্স বাবদ খরচ হয় এক বছরে ৯০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ। অবশ্য এ থাকা খাওয়া ও পড়াশোনার খরচ রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর জন্য। অন্যান্য শহরে এ পরিমাণটা আরো কম।
স্কলারশিপ :
রাশিয়ায় অনেক প্রতিষ্ঠানই ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিক্যাল ও সায়েন্সের বিষয়গুলোর বিশ্বের বিভিন্ন দেমে স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হলো-
* Irkutsk State Technical University (ISTU)
83, lermonotor street, Irktusk, Russia.
web- www.istu.edu
* Kovrov State Academy of Technology
Internation Servie,, Moyakovsky Street
Kovrov, Russia. web- www.kc.ru
* Krasnoyark State Thechnical Unitersity
দু’টি প্রধান ইউনিভার্সিটি :
1. Peoples Friendship university Russia
website- www.pfu.edu.ru
2. St. Petersborg State University
web- www.spbu.ru