উচ্চশিক্ষা, বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধাসহ কর্মস্থান আর উন্নত ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দ তালিকার শীর্ষে যুক্তরাজ্য। প্রায় ১৩০টির মতো নিবন্ধিত উচ্চশিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে দেশটিতে। যুক্তরাজ্যে ২০০টি দেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী পড়তে আসেন। প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা আলাদা বৃত্তি দিয়ে থাকে।
তেমনই স্নাতকোত্তরে একটি সম্মানজনক স্কলারশিপ দিচ্ছে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব আর্টস লন্ডন (ইউএএল)। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপ নিয়ে অধ্যয়ন করতে পারবেন। ‘ইউএএল ইন্টারন্যাশনাল পোস্টগ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ অ্যান্ড একোমোডেশন অ্যাওয়ার্ড’-এর আওতায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সম্পূর্ণ খরচ বহন করা হবে। স্নাতকোত্তরের মেয়াদ ১ থেকে ২ বছর। এ ছাড়া উপবৃত্তি হিসেবে মোট ৫০ হাজার পাউন্ড প্রদান করা হবে।
ইউনিভার্সিটি অব আর্টস লন্ডন যুক্তরাজ্যে রাজধানী লন্ডনে অবস্থিত এক কলেজিয়েট বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিল্পকলা, ডিজাইন, ফ্যাশন ও পারফরমিং আর্টের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। কারণ এর অধীন ছয়টি আর্ট কলেজ রয়েছে। কলেজগুলো হলো ক্যাম্বারওয়েল কলেজ অব আর্টস, সেন্ট্রাল সেন্ট মার্টিন্স, চেলসি কলেজ অব আর্টস, লন্ডন কলেজ অব কমিউনিকেশন, লন্ডন কলেজ অব ফ্যাশন ও উইম্বলডন কলেজ অব আর্টস।
যেসব বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে
- ফাইন আর্ট
- বায়োডিজাইন
- কম্পিউটিং
- ফটোগ্রাফি
- শিল্পকলা
- আর্কিটেকচার
- ইলাস্ট্রেশন
- ফ্যাশন ডিজাইনিং
- জার্নালিজম
- টেক্সটাইল
- ফটোগ্রাফি
- কিউরেশন
- ম্যানেজমেন্ট
সুযোগ-সুবিধা
- কোনো টিউশন ফি লাগবে না।
- উপবৃত্তি হিসেবে মোট ৫০ হাজার পাউন্ড দেওয়া হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৫৮ লাখ টাকা।
- আবাসন-সুবিধা প্রদান করা হবে।
- আবেদনের যোগ্যতা
- স্নাতকে ভালো ফলধারী হতে হবে।
- যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করেছেন এমন কেউ আবেদন করতে পারবেন না।
- বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে।
- ইংরেজি দক্ষতা প্রদর্শন করতে হবে। আইইএলটিএসে ন্যূনতম ৬.৫ স্কোর পেতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট।
- একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট।
- পার্সোনাল স্টেটমেন্ট।
- দুইটা রেফারেন্স লেটার।
- জীবনবৃত্তান্ত।
- ইংরেজি দক্ষতা সনদ।
ওয়েবসাইট
https://www.arts.ac.uk/study-at-ual/fees-and-funding/scholarships-search/ual-international-
আবেদনের শেষ সময়
১৩ জুন, ২০২২
———
বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও পেশা বিষয়ক পরামর্শ প্রদানকারী ব্রিটিশ বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান কনসালটিং হাব (www.consultinghub.uk) -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহমুদুল হক বলেন, বিদেশে অধ্যয়ন যে কারও জীবনের জন্য একটি প্রধান মাইলফলক, তাই জেনে বুঝে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ। ‘ব্রিটেনে পড়ালেখা চলাকালীন সময় পার্টটাইম এবং হলিডেতে অর্থাৎ ছুটির সময় ফুলটাইম কাজের সুযোগ রয়েছে এছাড়া ও রয়েছে ইন্টার্নশিপ এবং প্লেসমেন্ট এর সুবিধাসহ কোর্স শেষে দুই বৎসর ফুলটাইম কাজ কিংবা ব্যবসার সুযোগ। যাহা শিক্ষার্থীদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিসহ একটি বিশ্বমান সমৃদ্ধ জীবনবৃত্তান্তে নতুন মাত্রা যোগকরবে। এছাড়াও কোনো শিক্ষার্থী যদি তার দক্ষতার মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজের অনুমতি পান তাহলে ভবিষ্যতে স্থায়ী অভিবাসনের দাঁড় উন্মোচন হতে পারে। তাই শিক্ষার্থীদের উচিৎ হবে কম্পিটিটিভ অ্যাডভান্টেজ বুঝে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
যথাযথ কাগজপত্র প্রদান করার প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি বলেন, যেকোনো ডকুমেন্টস প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। CAS লেটারে উল্লেখিত এবং ভিসা রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী ডকুমেন্ট প্রদান করতে হবে। প্রজনের অতিরিক্ত কোনোপ্রকার কাগজপত্র জমা দিবেন না। প্রতিটি ডকুমেন্ট যেনো ইংরেজিতে হয় এবং কোনো প্রকার ভুল তথ্য কিংবা ভুল কাগজপত্র প্রদানে বিরত থাকুন।
অধ্যয়ন কালীন এবং অধ্যয়ন শেষে যুক্তরাজ্যে অবস্থান ও কর্মসংস্থানের জন্য যা যা জানা দরকার, ব্রিটেনে বৎসর জুড়ে, ফ্রি ক্যারিয়ার ইভেন্ট, জবস ফেয়ার , নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট, ফ্রি কোর্সসহ বিভিন্ন প্রকার ফ্রি ট্রেনিং ইভেন্ট হয়ে থাকে, ইত্যাদি বিশেষ সুযোগ সুবিধা গুলোর সঠিক ভাবে ব্যাবহার করে নিজেদের দক্ষতাকে বাড়িয়ে আগামীদিনের দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়েতুলতে পারেন। প্রতিটি ইউনিভার্সিটির নিজস্ব ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট এন্ড এডভাইস ডিপার্টমেন্ট এবং স্টুডেন্ট সাপোর্ট সেন্টার শিক্ষার্থীদের এসকল বিষয়ে সহায়তা প্রদান করে। কনসালটিং হাব তাদের অবস্থান থেকে সর্বাত্মক সেবা দানে বদ্ধপরিকর।