খাদিমুল ইসলাম : যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা এ বছরও বেড়েছে| বৃদ্ধির অনুপাতে আমরা সবার উপরে!
১৮ নভেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ওপেন ডোরস ২০১৯’ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ‘ওপেন ডোরস ২০১৯’ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ৮,২৪৯ জন| যুক্তরাষ্ট্রএ উচ্চশিক্ষার্থে মোট আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অনুপাতে আমাদের অবস্থান গতবারের মতো এবারও ২৫তম| কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, বৃদ্ধির হারে এই বছর আমরা সবার চাইতে এগিয়ে, ১০ ভাগ| ২০১৭-১৮ বাংলাদেশী শিক্ষার্থী ছিল ৭৪৯৬| ২০০৯ সালে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ২ হাজার ৬১৯ জন। এ হিসাবে গত এক দশকে দেশটিতে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিনগুণের বেশি বেড়েছে। তার পরও আমরা প্রতিবেশীদের চাইতে এখনো অনেক পেছনে| যেমন ধরেন, যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাওয়া ভারতীয় শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ২,০২,০১৪, আর নেপালি স্টুডেন্ট এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩,২২৯| আমার ধারণা এই সংখ্যা আরও বাড়বে|
আমেরিকাতে পড়তে আসার সব চাইতে বড় সুবিধা হলো, আপনি দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, কখন পাস্ করেছেন এইগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না| বিষয় হলো আপনার পছন্দের সাবজেক্ট সিলেক্ট করা, আপনি যে বিষয়ে কাজ করছেন বা যে বিষয়ে আগ্রহ আছে এইটাকে গুছিয়ে বলা| আর GRE তে ভালো স্কোর করা| ছাত্র জীবনে কোনো করণে, ভালো রেজাল্ট করতে পারেন নাই, ভালো ইউনিভার্সিটি বা ভালো সাবজেক্টএ পড়তে পারেন নাই তো কি হয়েছে, এখন আর একবার চেষ্টা করে দেখুন| প্রথমবারে GRE তে ভালো স্কোর না হলে, দ্বিতীয়বার দেন, তৃতীয়বার দেন|
আর হ্যা, আর একটি কথা, এখানে যারা পড়তে আসে তাদের মুটামুটি সবাই স্কলারশিপ নিয়ে এসেছে| ফলে টুশন ফী, থাকা খাওয়ার খরচ নিয়ে চিন্তা করার দরকার নাই| অতীত নিয়ে চিন্তিত হবার কারণ নাই| কোন বিষয়ে পড়েছেন, গ্রেড কত পেয়েছিলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যায় নাকি, মাদ্রাসা, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি কিসুই দেখে না এখানে| যদি উচ্চতর লেখাপড়া করতে চান, GRE আর IELTS দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেন|