প্রযুক্তি জ্ঞানের উৎকর্ষের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে ছয়টি স্বতন্ত্র ক্যটাগরিতে ১০ থেকে ১৩ বছর মেয়াদি বিশেষ আইটি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু করেছে আইডিবি-বিআইএসইডবলিউ। গত ১৫ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে প্রোগ্রামের ১৮তম রাউন্ডের আবেদনপত্র জমা গ্রহণ। আগামী ২১ জুন পর্যন্ত আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়া যাবে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের যেকোনো শাখা থেকে ১০০ টাকার বিনিময়ে আবেদনপত্র পাওয়া যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, আইডিবি-বিআইএসইডবলিউ (ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-বাংলাদেশ ইসলামিক সলিডারিটি এডুকেশনাল ওয়াকফ) ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত।
আইডিবি- বিআইএসইডবলিউ এর আয়োজনে এ আইটি স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আবেদন করার প্রাথমিক যোগ্যতা হচ্ছে ন্যূনতম বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ বা মাদরাসা থেকে গ্রাজুয়েট বা সমমানের ডিগ্রি। সিভিল/আর্কিটেকচার ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য রয়েছে বিশেষ কোর্স – আর্কিটেকচার অ্যান্ড সিভিল ক্যাড। মাস্টার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন।
তবে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ থাকতে হবে। মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, এগ্রিকালচার ও কম্পিউটারে স্নাতক কোন প্রার্থী এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে না।
স্কলারশিপের আওতায় ১০ থেকে ১৩ মাস মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্সগুলোর মধ্যে রয়েছে – ১০ মাস মেয়াদি আর্কিটেকচারাল অ্যান্ড সিভিল কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন; ১১ মাস মেয়াদি কম্পিউটার এসিস্টেড এনিমেশন; ১১ মাস মেয়াদি ডেটাবেইস ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট – ওরাকল; এক বছর মেয়াদি এন্টারপ্রাইজ সিস্টেমস এনালাইসিস অ্যান্ড ডিজাইন – সি শার্প ডটনেট; ১৩ মাস মেয়াদি এন্টারপ্রাইজ সিস্টেমস এনালাইসিস অ্যান্ড ডিজাইন – জে২ইই এবং একবছর মেয়াদি নেটওয়ার্ক টেকনোলজিস এবং একবছর মেয়াদি ওয়েব প্রেজেন্স সলিউশন্স অ্যান্ড ইমপিমেন্টেশন।
স্কলারশিপ প্রোগ্রাম সম্পর্কে আইডিবি-বিআইএসইডবলিউ’র প্রধান নির্বাহী নিয়াজ খান বলেন, ‘‘আইটি স্কলারশিপ প্রোগ্রামে প্রত্যেক নির্বাচিত প্রার্থী পাচ্ছে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা সমমূল্যের প্রশিক্ষণ এবং ৫০ হাজার টাকা সমমূল্যের ভেন্ডর সার্টিফিকেশন।’’
এছাড়াও প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা হারে ভাতা প্রদান করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এ স্কলারশিপের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে নির্বাচিত তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মানসম্মত প্রশিক্ষণ প্রদান করা।’’
একইসঙ্গে সফলভাবে কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের দেশবিদেশে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, ‘‘এ পর্যন্ত ১৩টি রাউন্ডে দুই হাজার আটশো শিক্ষার্থী সফলভাবে কোর্স সম্পন্ন করেছেন। যাদের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ শিক্ষার্থীই বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।’’