বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি সম্প্রতি ৫২তম ব্যাচে তিন বছর মেয়াদি ব্যাচেলর অব মেরিটাইম সায়েন্স (নটিক্যাল) এবং ব্যাচেলর অব মেরিটাইম সায়েন্স (ইঞ্জিনিয়ারিং) কোর্সে বিভিন্ন পত্রিকায় ক্যাডেট ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া এই ভর্তির বিজ্ঞপ্তিটি এই লিংক থেকেও ডাউনলোড করা যাবে। বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৩০০ জন দক্ষ ও যোগ্য মেরিন ক্যাডেট তৈরি করেছে। বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, এখান থেকে ক্যাডেটরা পাস করে শুধু দেশেই নয়, বাইরের দেশের বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। তবে বর্তমানে এই কোর্সটি তিন বছরের হলেও আগামী বছর থেকে এই কোর্সটি চার বছর মেয়াদি হবে বলে একাডেমি সূত্রে জানা গেছে। এতে নারী ও পুরুষ উভয় প্রার্থীই আবেদনের সুযোগ পাবেন। ইতিমধ্যে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। আবেদন করতে হবে ১ অক্টোবরের মধ্যে। তাই যাঁরা দেশ বা বিদেশের বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে কাজ করতে চান, তাঁরা আবেদন করতে পারেন। সম্মানজনক, আত্মনির্ভরশীল ও স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষেত্রে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা।
আবেদনের যোগ্যতা:
ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পদার্থ ও গণিত বিষয়ে আলাদাভাবে জিপিএ ৩.৫০ ও ইংরেজিতে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ অথবা আইইএলটিএস গড় স্কোর ৫.৫ থাকতে হবে। পুরুষ ও মহিলা উভয় প্রার্থীদের ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে সর্বোচ্চ বয়স ২১ বছরের মধ্যে হতে হবে। আর শারীরিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে পুরুষ প্রার্থীদের উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং মহিলা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি হতে হবে। অন্যদিকে ওজনের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিএমআই চার্ট মোতাবেক হতে হবে। ন্যূনতম ১৭ এবং সর্বোচ্চ ২৭। যেমন (৫ ফুট ৪ ইঞ্চি: ৪৫-৭১ কেজি; ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি: ৪৮ থেকে ৭৬ কেজি)। দৃষ্টিশক্তি নটিক্যাল ক্যাডেটদের জন্য ৬/৬ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাডেটদের জন্য ৬/১২ (চশমাসহ অবশ্যই ৬/৬ হতে হবে। প্রার্থীদের অবশ্যই অবিবাহিত ও বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
আবেদন পদ্ধতি:
আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন করতে হবে অনলাইনে। বাংলাদেশে অবস্থিত সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় একাডেমির পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত স্লিপে এক হাজার টাকা এবং ব্যাংক চার্জ ১০০ টাকা মোট ১ হাজার ১০০ টাকা জমা দিতে হবে। জমা স্লিপে নিজের নাম ও নিজের বাবার মোবাইল নম্বর লিখতে হবে। মনে রাখতে হবে, প্রদত্ত মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ট্র্যাকিং নম্বর পাঠানো হবে। ট্র্যাকিং নম্বর দিয়ে সোনালী ব্যাংক বা একাডেমির ওয়েবসাইট থেকে (www.sonalibank.com.bd/ma) লিংকে ক্লিক করে ফরম পূরণ ও ৩০ কেবি মাপের ছবি আপলোড করতে হবে। ফরম পূরণ শেষ হলে প্রবেশপত্র দেখা যাবে, যা প্রিন্ট করে নিতে হবে।
নির্বাচন পদ্ধতি:
এখানে ভর্তি পরীক্ষা হবে কয়েকটি ধাপে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রার্থীদের প্রথমে ২০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে দুই ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। বিষয় থাকবে পদার্থবিজ্ঞান, গণিত, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান। লিখিত পরীক্ষায় ভালো করতে হলে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যবইগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে। জানা গেছে, একজন উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণের প্রশ্নের মান যে ধরনের হয়ে থাকে, লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নও তেমনই হবে। উত্তীর্ণ হতে হলে প্রার্থীদের ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। লিখিত পরীক্ষা ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহীতে আগামী ৯ অক্টোবর বেলা ২টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষার কেন্দ্র প্রার্থীদের এসএমএসের মাধ্যমে ৬ থেকে ৭ অক্টোবরের মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে। লিখিত, শারীরিক ও মৌখিক পরীক্ষার সময় অনলাইন থেকে পাওয়া প্রবেশপত্র, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র সঙ্গে আনতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে মেধাতালিকার মাধ্যমে প্রার্থীদের আবার প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরবর্তী সময়ে চূড়ান্ত ডাক্তারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই প্রার্থী তাঁর ভর্তির যোগ্যতা লাভ করবেন।
বিস্তারিত যোগাযোগ:
ভর্তি-সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন এই ঠিকানায়—
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম-৪২০৬, বাংলাদেশ।
ফোন: ০৩১ ২৫১৪১৫১-৬
ওয়েবসাইট: (www.macademy.gov.bd)