এসএসসি পরীক্ষার ফল বেরিয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। ১২ মে থেকে শুরু হয়ে গেছে দেশের বিভিন্ন কলেজে ভর্তি কার্যক্রম। সনাতন ও অনলাইন দুটি পদ্ধতিতেই ভর্তি করা হবে এবার। গেলবার শুরু হওয়া অনলাইন পদ্ধতিতে ঘরে বসে মুঠোফোনে সারা যাবে ভর্তিপ্রক্রিয়া। এবার ঢাকা ও কুমিল্লা বোর্ডের প্রায় ২০০ কলেজ দিচ্ছে এ সুবিধা। দুটি পদ্ধতিতেই ভর্তির আবেদনের শেষ তারিখ ৬ জুন। তবে খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ক্ষেত্রে যাদের ফল পরিবর্তন হবে, তাদের জন্য ভর্তির আবেদনের শেষ তারিখ ১৪ জুন।
ভর্তির যোগ্যতা
২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির নীতিমালা অনুসারে ২০১০, ২০১১ ও ২০১২ সালে দেশের যেকোনো শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির আবেদন করতে পারবে। বিজ্ঞান শাখা হতে পাস করা শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক বা ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিক শাখা থেকে পাস করা শিক্ষার্থী মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে পাস করা শিক্ষার্থী ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক শাখার যেকোনো একটিতে আবেদন করতে পারবে।
ভিত্তি জিপিএ….
কলেজে ভর্তি হতে কোনো ভর্তি পরীক্ষা হবে না। ভর্তি করা হবে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে। বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তির ক্ষেত্রে সমান পয়েন্ট থাকলে সাধারণ গণিত, উচ্চতর গণিত বা জীববিজ্ঞানে পাঁচ পয়েন্ট পাওয়া প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পাবে।
পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিজ্ঞানে অর্জিত পয়েন্ট বিবেচনায় আনা হবে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ এবং বিভাগ বদলের ক্ষেত্রে সমান পয়েন্ট অর্জনের বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ের গ্রেড পয়েন্ট বিবেচনায় আনা হবে।
ভর্তির জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৭ জুন। ভর্তির সময় দরকার হবে মূল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট বা নম্বরপত্র এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের দেওয়া প্রশংসাপত্র।
আবেদন ফি ১২০ টাকা
আবেদন ফরম এবং ভর্তি ব্যবস্থাপনার খরচ মেটাতে সনাতন পদ্ধতিতে ১২০ টাকা নগদ অথবা এসএমএসের ক্ষেত্রে টেলিটক মোবাইল থেকে কেটে নেওয়া হবে। বোর্ড নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফি ১২০, ক্রীড়া ফি ৩০, রোভার বা রেঞ্জার ফি ১৫, রেড ক্রিসেন্ট ফি ২০ টাকা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফি সাত টাকা। তবে কোনো শিক্ষার্থীর পাঠ বিরতি থাকলে ১০০, বিলম্বে ভর্তি হলে ৫০ টাকা এবং শাখা বা বিষয় পরিবর্তন করলে ২৫ টাকা বর্ধিত ফি হিসেবে নেওয়া হবে।