বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সম্প্রতি সিপাহি পদে সারা দেশ থেকে পুরুষ প্রার্থী নেবে বলে জানিয়েছে। বিজিবির উপমহাপরিচালক (রেকর্ড) সৈয়দ ফজলে কাদের আহমেদ বলেন, ছয় মাস পর পর বছরে দুবার এই পদে লোক নেওয়া হয়। এসব শূন্য পদে দেড় থেকে দুই হাজার সিপাহি নিয়োগ করা হবে। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে তিনি জানান। তাই যাঁরা বিজিবিতে পেশা গড়ে সীমান্ত রক্ষা ও দেশসেবা করতে চান, তাঁরা এই পদে আবেদন করতে পারেন। এরই মধ্যে আবেদন শুরু হয়ে গেছে। আবেদন করতে হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১২টার মধ্যে।
আবেদনের যোগ্যতা: প্রার্থীকে এসএসসি পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ-৩ এবং এইচএসসি পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ-২ দশমিক ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২৩ বছর। উচ্চতা হতে হবে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। আর ওজন হতে হবে সর্বোচ্চ ৪৯ দশমিক ৮৯৫ কেজি। বুকের মাপ হতে হবে ৩২ ইঞ্চি থেকে ৩৪ ইঞ্চি। দৃষ্টিশক্তি লাগবে ৬/৬। তবে উপজাতিদের উচ্চতা, ওজন, বুকের মাপের ক্ষেত্রে ভিন্নতা আছে। প্রার্থীকে অবশ্যই সাঁতার জানতে হবে।
আবেদনপ্রক্রিয়া: এই পদে আবেদন করতে হবে এসএমএসের মাধ্যমে। টেলিটক প্রিপেইড মোবাইলের মাধ্যমে মেসেজ অপশনে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ১৬২২২ নম্বরে একটি এসএমএস পাঠাতে হবে। এরপর প্রার্থী পিন নম্বর-সংবলিত একটি এসএমএস পাবেন। পিন নম্বরটি পাওয়ার পর প্রার্থীকে তাঁর পিন নম্বর, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি তথ্য দিয়ে ১৬২২২ নম্বরে আরেকটি এসএমএস করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আবেদন ফি বাবদ মোবাইলের ব্যালান্স ১৬০ টাকা থাকতে হবে। এরপর প্রার্থীকে রেজিস্ট্রেশন নম্বরসহ একটি নিশ্চিতকরণ এসএমএস তাঁর নিজস্ব মোবাইলে পাঠানো হবে। আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রার্থীদের এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির তারিখ ও স্থান জানানো হবে। ভর্তির সময় উল্লিখিত স্থানে ১০ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে আনতে হবে। এসব কাগজপত্র ভুয়া বা কোনো ধরনের জাল প্রমাণিত হলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে।
নির্বাচনপ্রক্রিয়া: প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিজিবির বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত সেক্টরগুলোর সেক্টর কমান্ডারের নেতৃত্বে প্রথমে প্রাথমিক ডাক্তারি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এখান থেকে নির্বাচিত প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। লিখিত পরীক্ষা প্রসঙ্গে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ মোহসিন রেজা বলেন, লিখিত পরীক্ষা সাধারণত বাংলা, গণিত, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞানের ওপর মোট ১০০ নম্বরের হয়ে থাকে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রাথীদের আবার চূড়ান্ত ডাক্তারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। এখানে প্রার্থীদের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হবে। এরপর তাঁদের আবার পুলিশ ভ্যারিফিকেশনের মাধ্যমে সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে চূড়ান্তভাবে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে।
বেতন-ভাতা ও পদোন্নতি: চূড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন সিপাহি জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ অনুযায়ী ৯ হাজার ৯৫ টাকা বেতন পাবেন। এ ছাড়া চাকরি স্থায়ী হওয়ার পর বাসস্থান, চিকিৎসা সুবিধা, রেশন, সন্তানদের পড়াশোনার খরচ, ৩০ শতাংশ সীমান্ত ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা পাবেন। একজন সিপাহি তাঁর যোগ্যতার ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়ে ল্যান্স নায়েক, নায়েক, হাবিলদার, নায়েব সুবেদার, সুবেদার এমনকি বিভাগীয় অফিসার পর্যন্ত হতে পারেন।
ভর্তিসংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য ভিজিট করতে পারেন www.bgb.gov.bd এই ঠিকানায়।
সূত্র : প্রথম আলো