শুভ সকাল। কিন্তু সকলের ভাগ্যে এই শুভ সকাল শুভ না হয়ে দেখা দেয় অভিশাপ হিসেবে। স্বল্প সময়ে সকালের নাস্তা খাওয়া, ক্লাস বা অফিসে যাওয়ার প্রস্তুতি তার ওপর রাস্তায় জ্যাম ব্যাপারটি মাথায় আলাদা চাপ তৈরি করে। ব্যাগ, খাতা, কলম, চাবি, চশমা খুঁজে পাচ্ছেন না। সব মিলিয়ে বেহাল অবস্থা। এই অশুভ সকালকে শুভ রাখার কৌশল নিয়ে লিখেছেন তালহা বিন জসিম।
নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম
যত ঝামেলা তৈরি করে সকালের অনিয়ন্ত্রিত ঘুম। এই ঘুমের কারণে সবক্ষেত্রে সময় কমে যায় দেখা দেয় যত অব্যবস্থাপনা। সুতরাং ঘুমুতে যাওয়া ও জাগতে হবে নির্দিষ্ট সময়ে। সকালের নির্ধারিত কাজ যাতে সাচ্ছন্দে শেষ করা যায় এমন সময় হাতে রেখে ঘুম থেকে জাগার সময় ঠিক করতে হবে। আর এই নির্দিষ্টকরণকে করতে হবে নিয়মিতকরণ। তাহলে অর্ধেক ঝামেলা শেষ।
সকালের পরিবেশ
নির্দিষ্ট সময়ের কিছুটা আগেই ঘুম থেকে জাগুন। আর ঘুম থেকে জেগেই বিরক্তিকর কাজ এড়িয়ে চলুন। ঘুম থেকে উঠে পজিটিভ চিন্তা করুন, দুশ্চিন্তা পরিহার করুন। শ্রুতিমধুর গানের প্লেলিস্ট তৈরি করে কিছুক্ষণ গান শুনুন আর কাজের জন্য নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করুন। নিজের চাহিদা মতো ঘরের আলো বাতাসের ব্যবস্থা করুন। রাতের পোশাক পাল্টিয়ে সুগন্ধিযুক্ত নতুন পোশাক পড়–ন দেখবেন আপনাকে অনেকটা ফুড়ফুড়ে মেজাজ উপহার দেবে।
পরিকল্পনা হাতে থাকা
প্রতিদিন রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে আগামীদিনের অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজের তালিকা করে রাখুন। ব্যবসায়িক মিটিং আছে কিনা, কোন বিল জমা দিতে হবে কিনা, কোন ক্লাস টিউটোরিয়াল আছে কিনা অথবা চাকরির পরীক্ষা আছে কিনা এভাবে ভেবেচিন্তে কাজের তালিকা করে রাখুন এবং রাতেই হোয়াইট বোর্ডে বড় করে লিখে এমনভাবে রাখুন যাতে ঘুম ভাঙলেই আপনার চোখে পড়ে।
এক ধাপ এগিয়ে থাকা
সকালের কাজ রাতেই কিছুটা করে রেখে সময়ের আগে চলতে পারেন। যেমন- অফিস বা স্কুল কলেজের ব্যাগটা গুছিয়ে রাখা, আগামীকাল যে পোশাক পরবেন তা ঠিক করে নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দেয়া, শেভ করা লাগলে রাতে করে নেয়া, সকাল ও দুপুরের খাবারের কী মেনু হবে রাতেই গৃহকর্মীকে বলে রাখা যেতে পারে।
অলসতা পরিহার
‘ঘুম তুমি ঘুমাও এ হাবিব ঘুমুবেনা’ এ কথা বলে ঘুম কে ফুটবল বানিয়ে ফ্রি কিক মেরে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিন। দেখবেন অনেকটা এগিয়ে গেছেন। ঘুম থেকে জেগে বিছানায় গড়াগড়ির অভ্যাস পরিত্যাগ করুন। অলসতাকে প্রশয় না দিয়ে সকালের সজীব বাতাসের সাথে শিশির ভেজা ঘাষের ছোয়া নিয়ে প্রানবন্ত থাকুন। সকালের ব্যায়াম করে কোনোভাবেই বিশ্রামে যাবেন না। দ্রুত গোসল সেরে সকালের নাস্তা করে খবরের কাগজে চোখ বুলিয়ে নিন। অলসতা না করে একটু আগেই ক্লাস বা অফিসের জন্য বেরিয়ে পড়ুন।
জ্বালানি দিন
সকালটাকে প্রাণবন্ত ও সারাদিন ভালো কাটানোর জন্য সকালের নাস্তাকে করুন স্বাস্থ্যসম্মত। মনে রাখবেন, রাতের পরে সকালের নাস্তাই আপনার দেহের প্রথম জ্বালানি। তাই স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের মেনু ঠিক করুন।