দেশের শিক্ষিত তরুণ সমাজই উন্নত দেশ গড়ার হাতিয়ার । কিন্তু শিক্ষিত জনগোষ্ঠির বিরাট অংশ আজ চাকরিক্ষেত্রে চরম প্রতিযোগিতা আর আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে শিক্ষা ও কর্মজীবনে নানা বিপত্তির সম্মুখীন হচ্ছেন। আর ব্যক্তিগত জীবনে হচ্ছেন হতাশাগ্রস্থ। অথচ প্রশিক্ষণ নিয়ে এদের যে কেউ অল্প মুলধনে খুব কম সময় ও পরিশ্রমে শুরু করতে পারেন মাশরুম চাষ। নিয়মিত পরিচর্যা করতে পারলে এর মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি আছে প্রচুর মুনাফা লাভের সুযোগ। এ বিষয়ে লিখেছেন- মো: নাজমুল হাসান নাহিদ
মাশরুম কী?
বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত ২ লক্ষাধিক প্রজাতির ছত্রাকের মধ্যে যেসব ছত্রাক খাওয়ার উপযোগী, পুষ্টিকর ও সুস্বাদু কেবল সেগুলোকেই বলা হয় মাশরুম। অপরদিকে প্রকৃতিতে যেখানে সেখানে গজিয়ে ওঠা বেশিরভাগ ছত্রাককেই বলা হয় ‘ব্যাঙের ছাতা’ যা খাওয়ার অনুপযোগী এবং বিষাক্ত ।
পুষ্টিগুণ ও খাবারের প্রকরণ
অত্যন্ত পুষ্টিকর, সুস্বাদু ঔষধি গুণসম্পন্ন সবজি মাশরুম সম্পূর্ণ হালাল। যার শুকনা ওজনের ২৫-৩০% আমিষ; ৫৭-৬০% ভিটামিন, মিনারেল ও আশ; ৫-৬% চর্বি ও ৪-৬% শর্করা।
যে কোনো খাবারের সাথে মাশরুম মিশিয়ে রান্না করে খাবারের স্বাদ অনেক বেশি বাড়িয়ে নেয়া যায় ।
মাশরুমের সমন্বয়ে তৈরি জনপ্রিয় সুস্বাদু খাবারের মধ্যে রয়েছে মাশরুম স্যুপ, মাশরুম ফ্রাই, মাশরুম ওমলেট, মাশরুম নুডুল্স, মাশরুম মাংস, মাশরুম মাছ, মাশরুম ভর্তা ও মাশরুম সবজিসহ বিভিন্ন রকমের ফাস্টফুড।
উপকারিতা
পুষ্টিগুণের পাশাপাশি মাশরুমের রয়েছে অনেক উপকারিতা। শরীরে জমে থাকা কোলেস্টেরল ভাঙা, লিভারের কার্যক্রম সঠিক রাখা, ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করা, ইনসুলিন নি:সরন ত্বরান্বিত করা ও বিষন্নতা দূর করা ইত্যাদি। এ ছাড়া হৃদরোগ, উচ্চ-রক্তচাপ, ক্যান্সার, টিউমার, মেদভূড়ি, জণ্ডিস, রক্ত-স্বল্পতা, যৌন অক্ষমতা, ডেঙ্গুজ্বর, ডায়াবেটিস ইত্যাদি দূরারোগ্য ব্যাধির প্রতিরোধ ও নিরাময়ে মাশরুমের অবদান রয়েছে।
মাশরুম চাষের সম্ভাবনা
প্রচলিত সামাজিক কারণে যেসব শিক্ষিত বেকার রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, ক্ষেতে কাদামাটির সাথে মিশে গতানুগতিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে অনাগ্রহী তাদের জন্য মাশরুম চাষ হতে পারে বিকল্প। কারণ ঘরে বসে মাশরুম চাষের মাধ্যমে অল্প শ্রম, সময় ও পুঁজিতে অধিক অর্থ উপার্জন সম্ভব। অসচ্ছল পরিবারের অধ্যয়নরত নারী শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশুনার পাশাপাশি এবং গৃহিনীরা তাদের সাংসারিক কাজের পাশাপাশি এমনকি প্রতিবন্ধীরাও ইচ্ছা করলে মাশরুম চাষের মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন।
মাশরুম চাষের বিশেষ সুবিধা
– বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু মাশরুম চাষের জন্য বেশ উপযুক্ত।
– আবাদী জমির দরকার হয় না, ঘরের মধ্যেই চাষ করা যায়।
– মাশরুম চাষে প্রয়োজনীয় উপকরণ অত্যন্ত সস্তা ও সহজলভ্য।
– উল্লম্বিক পদ্ধতিতে তাকের ওপর মাশরুমের স্পন প্যাকেট সাজিয়ে একটি ঘরকে কয়েকটি ঘরের সমান ব্যবহার করা যায়।
– মাত্র ৭-১০ দিনের মধ্যেই মাশরুমের ফলন পাওয়া যায়।
– অতি অল্প পুঁজি দিয়েই শুরু করা যায়।
– বিনিয়োগকৃত অর্থ খুব তাড়াতাড়ি উঠে আসে।
– খুবই অল্প শ্রমের প্রয়োজন হয়।
– বাজারমূল্য তুলনামূলক ভালো।
– মাশরুম চাষে কোনো রাসায়নিক সার ব্যবহৃত হয় না। তাই মাশরুম চাষের ফলে মাটি, বাতাস ও পানি দূষিত হয় না, ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে।
মাশরুম চাষের পরিবেশ
– চাষঘরে অক্সিজেনের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হয়। চাষঘরে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বেড়ে গেলে মাশরুমের ফ্রুটিং বডির ফলন কমে যায়, তাই ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বের করে দেয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
– প্রজাতিভেদে বিভিন্ন মাত্রার আলোতে মাশরুমের ফলন ভালো হয়। ওয়েস্টার মাশরুমের ক্ষেত্রে আবছা আলো ও মিল্কি মাশরুমের ক্ষেত্রে অনেক আলো প্রয়োজন হয়।
– নির্দিষ্ট প্রজাতির মাশরুমের ফ্রুটিং বডি গজানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার প্রয়োজন। ওয়েস্টার মাশরুমের ক্ষেত্রে ২০-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন।
– উচ্চমাত্রার আর্দ্রতায় মাশরুমের ফলন ভালো হয়। তবে প্রজাতিভেদে প্রয়োজনীয় আপেক্ষিক আর্দ্রতার মান বিভিন্ন হয়। ওয়েস্টার মাশরুমের জন্য প্রয়োজনীয় আপেক্ষিক আদ্রতার মান ৭০-৮০%।
চাষ প্রণালী
বাংলাদেশে বেশ কয়েক প্রজাতির মাশরুম চাষ হয়। এর মধ্যে ওয়েস্টার মাশরুম বছরে বারো মাসই চাষ করা যায়। তাই এখানে এই প্রজাতিটির চাষ প্রণালীটি বর্ণনা করা হলো।
– চাষঘর তৈরির পর বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে মানসম্মত মাশরুমের স্পন প্যাকেট সংগ্রহ করতে হবে। স্পন প্যাকেট টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে আগেই তৈরি করা থাকে।
– স্পন প্যাকেট পরিবহনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাবধানতার সাথে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থাযুক্ত ঠাণ্ডা পরিবেশে পরিবহন করতে হবে।
– চাষঘরে বসানোর আগে স্পন প্যাকেটের কোণাযুক্ত দুই কাঁধ বরাবর প্রতি কাঁধে ২ ইঞ্চি লম্বা এবং ১ ইঞ্চি নিচে ব্যাস করে অর্ধবৃত্তাকারে প্যাকেটের আবরণটি কেটে ফেলতে হবে। যাতে অর্ধবৃত্তটির বৃত্তচাপটি নিচের দিকে থাকে।
– উভয় পাশের কাটা জায়গার সাদা অংশ ব্লেড দিয়ে চেছে ফেলতে হবে।
– এই অবস্থায় প্যাকেটটিকে ৫-১৫ মিনিট পানিতে উপুড় করে চুবিয়ে তারপর পানি ঝরিয়ে চাষঘরের মেঝে অথবা তাকে সারি করে সাজিয়ে চাষ করতে হবে।
– চাষঘরের মেঝে অথবা র্যাকে প্যাকেটগুলো ২ ইঞ্চি দূরত্বে সারি সারি করে সাজাতে হবে।
– আর্দ্রতা ঠিক রাখার জন্য গরমের দিনে ৪-৫ বার আর শীতে/বর্ষায় ২-৩ বার স্পন প্যাকেটে পানি স্প্রে করতে হবে।
– প্রয়োজনে আরো বেশি পানি স্প্রে করা যেতে পারে। তবে সুর্যোদয়ের আগে ও সুর্যাস্তের পরে পানি দিলে ফলন বহুগুণে বাড়ে।
– পরিচর্যা সঠিক হলে ২-৩ দিনের মধ্যে পিনের মতো মাশরুমের অংকুর বের হয়।
– ৫-৭ দিনের মধ্যে মাশরুম তোলার উপযোগী হয়।
– একসঙ্গে অনেকগুলো অংঙ্কুর আসলে ছোট অঙ্কুরগুলো কেটে ফেলে প্রতি পাশের থোকায় ৮-১২টি ফ্রুটিং বডি রাখতে হবে।
– প্রথমবার মাশরুম তোলার পর প্যাকেট একদিন বিশ্রাম অবস্থায় রাখতে হবে। পরেরদিন আগের কাটা অংশ আবার চেছে আগের মতো পানি স্প্রে করতে হবে।
– ১০-১৫ দিন পর দ্বিতীয়বার মাশরুম সংগ্রহ করা যাবে।
– একইভাবে একটি প্যাকেট থেকে ৫-৬ বার মাশরুম সংগ্রহ করা যায়। তবে বাণিজ্যিকভাবে চাষের জন্য ২-৩ বার সংগ্রহ করা উচিত। তাতে প্রতি স্পন প্যাকেট থেকে ২০০-২৫০ গ্রাম মাশরুম পাওয়া যায়।
– বেশি সময়ের জন্য সংরক্ষণ করতে চাইলে সংগ্রহের পূর্বে অন্তত ১২-১৫ ঘণ্টার মধ্যে মাশরুমের গায়ে সরাসরি পানি স্প্রে করা যাবে না।
– একটি স্পন প্যাক থেকে ৭৫-৯০ দিন পর্যন্ত ভালোভাবে মাশরুম পাওয়া যায়।
– খেয়াল রাখতে হবে যাতে স্পন প্যাকেট ছিদ্র না হয় এবং এর পাশে পানি জমে না থাকে।
রোগ বালাই
মাশরুম চাষে তেমন রোগ বালাই নেই বললেই চলে। পোকা-মাকড়ের কারণে স্পন প্যাকেট বা মাশরুম ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। সেক্ষেত্রে পোকা-মাকড় দমনের ব্যবস্থা করলেই ক্ষতি থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
যেভাবে শুরু করবেন
সঠিক প্রশিক্ষণ নেয়ার পর জাতীয় মাশরুম উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কেন্দ্র থেকে মাশরুমের স্পন প্যাকেট সংগ্রহ করে বাসাবাড়ির অল্প কিছু জায়গা নিয়ে শুরু করতে পারেন মাশরুম চাষ। চাষীদের কাছ থেকে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা মাশরুম এখানে সরাসরি ক্রয় করা হয়। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে চাষ করা মাশরুম হাতের কাছে বাজারে, ফাস্টফুডের দোকানে কিংবা পাইকারি বিতরণকারীর কাছে লাভজনক মূল্যে বিক্রি করা যেতে পারে।
কী রকম লাভ করা সম্ভব?
জাতীয় মাশরুম উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কেন্দ্র থেকে সরকারি উদ্যোগে ৮ টাকা করে ৫০০ গ্রাম ওজনের স্পন প্যাকেট বিক্রি করা হয়। প্রতিটি স্পন প্যাকেট থেকে ২০০-২৫০ গ্রাম মাশরুমের উৎপাদন হয় যার বাজার মুল্য কেজি প্রতি কমপক্ষে ১৫০ টাকা। অর্থাৎ ১০০০ টাকার স্পন প্যাকেট থেকে উৎপাদিত মাশরুম এক মাসেই ৩০০০ টাকার বেশি দামে বিক্রি করা যাবে।
প্রশিক্ষণ
ঢাকার অদূরে সাভারের সোবহানবাগে অবস্থিত জাতীয় মাশরুম উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কেন্দ্র সহ দেশের আরো ১৬টি সাব-সেন্টার হতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ৩ দিনব্যাপী মাশরুম চাষ শীর্ষক ‘চাষী প্রশিক্ষণ’ দেয়া হয়। এজন্য আগেই সেখানে গিয়ে প্রার্থীকে নাম নিবন্ধন করে আসতে হয়। প্রশিক্ষণপ্রার্থীদের আবেদনের সংখ্যার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সময় পর তাদেরকে ফোন করে প্রশিক্ষণের তারিখ জানিয়ে দেয়া হয়। ‘চাষী প্রশিক্ষণ’ ছাড়াও এখানে ৫ দিনব্যাপী ‘সম্প্রসারণ কর্মী প্রশিক্ষণ’ এবং ২ মাসব্যাপী ‘শিল্পোদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ’ দেয়া হয় । মাশরুম চাষের জন্য স্পন প্যাকেট এখান থেকেই স্বল্পমূল্যে সরবরাহ করা হয়।
আরো বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে পারেন-
প্রকল্প পরিচালক
মাশরুম উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্প
জাতীয় মাশরুম উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কেন্দ্র
সোবহানবাগ, সাভার, ঢাকা।
ফোন: ৭৭৪২৪৯৬
প্রকল্পের ১৬টি সাব-সেন্টার:
যশোর, সিলেট, দিনাজপুর, ফরিদপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ফেনী, খুলনা, ময়মনসিংহ, রংপুর, বরিশাল, বান্দরবান, বগুড়া, রাঙামাটি, কক্সবাজার এবং চাঁপাই নবাবগঞ্জ
সা ক্ষা ৎ কা র
মাশরুম চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমরা গিয়েছিলাম মাশরুম উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন অফিসার ও কৃষিবিদ আব্দুছ ছালাম খানের কাছে। তার সাথে ক্যারিয়ার ইনটেলিজেন্স-এর কথোপকথন পাঠকদের উদ্দেশে তুলে ধরা হলো।
এটি কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান?
– এটি সম্পূর্ণ সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান। বিনামূল্যে মাশরুম চাষ প্রশিক্ষণের দ্বারা কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন করা, বেকার সমস্যা সমাধান করা, মাশরুম শিল্প গড়ে তুলে উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা, মাশরুম বাজারজাত ও রপ্তানিতে সহায়তা করা, মাশরুম বিষয়ক বৈজ্ঞানিক গবেষণা করা এবং মাশরুম শিল্পকে জনপ্রিয় করতে এই প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে যাচ্ছে।
মাশরুম চাষের জন্য প্রশিক্ষণ কতটা জরুরি?
– মাশরুম চাষের জন্য সঠিক প্রশিক্ষণ খুবই জরুরি। শুধু সঠিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের মাধ্যমেই মাশরুমের বাম্পার ফলন পাওয়া সম্ভব। আর সঠিক ও নির্ভুল পদ্ধতিতে মাশরুম চাষের জন্য প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।
দেশে আর কোথাও এ রকম প্রশিক্ষণ দেয়া হয় কি?
– আমাদের এই প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে দেশের আরো ১৬টি সাব-সেন্টারে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। সরকারের অনুমোদনবিহীন কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নেয়া উচিত নয়। কারণ সেক্ষেত্রে পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকার সম্ভাবনা বেশি।
কাদের জন্য এই প্রশিক্ষণ?
– সব পেশার লোকেরাই এই প্রশিক্ষণটি করে মাশরুম চাষ শুরু করতে পারেন। তবে বিশেষ করে নারী ও বেকারদের জন্য এটি বিশেষ উপযোগী। কারণ ঘরে বসেই তারা এর মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে পারেন। এতে নারীদের মধ্যে অন্যের উপর নির্ভর করার প্রচলিত প্রবণতাও কমে যাবে।
নতুন চাষীদের ক্ষেত্রে বাজার সম্ভাবনা কেমন?
– বাজারে মাশরুমের ব্যাপক চাহিদা আছে। ভোক্তাদের মাঝে মাশরুম বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু বাজার সম্ভাবনার ক্ষেত্রে মূল ব্যাপারটা হচ্ছে উৎপাদনকারীর সাথে ভোক্তা ও বিতরণকারীর মধ্যে আন্ত:যোগাযোগ। এছাড়া আমাদের এখানে ‘মাশরুম ফাউন্ডেশন’ নামের একটি চাষী সংগঠন এই ব্যাপারে মাশরুম চাষীদেরকে যথেষ্ট সাহায্য করে থাকে।
ছাত্রদের জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি মাশরুম চাষ কতটা উপযোগী?
– ছাত্রদের জন্য মাশরুম চাষ উপযোগী। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই মাশরুম চাষের জন্য তার পর্যাপ্ত জায়গা থাকতে হবে। বাসাবাড়িতে যে কোনো শিক্ষার্থী এটা শুরু করতে পারেন।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে মাশরুম চাষের সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কিছু বলুন।
– আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে অল্প শ্রম, সময় ও পুঁজিতে সর্বসাধারণের জন্য এর চেয়ে ভালো ব্যবসা আর কোনোটিই হতে পারে না। চাষীরা যাতে মাশরুম চাষে আরো বেশি লাভবান হতে পারে তার জন্য বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে আরো উন্নত প্রজাতির মাশরুম উৎপাদনের চেষ্টা চলছে। আমার আশা করি ভবিষ্যতে মাশরুম হবে বাংলাদেশের প্রধান ফসল।
আমাদের দেশে ক্যারিয়ার ম্যাগাজিনের প্রয়োজন আছে কি?
– অবশ্যই প্রয়োজন আছে। তরুণদের জন্য দিক-নির্দেশনামূলক কোনো কিছুর অবশ্যই দরকার আছে।
ক্যারিয়ার ইন্টেলিজেন্সকে সময় দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
– আপনাদেরকেও ধন্যবাদ ।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ
মো: নাজমুল হাসান নাহিদ
৫ সেপ্টেম্বর ২০১১, বিকেল ৪টা
PLEASE SEND ME YOUR CON. NO