চাকরি পাওয়ার পর মনে হয়, হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। অনেকে এ পর্যায়ে ক্যারিয়ারকে দাঁড় করানোর চেষ্টা ছেড়ে দেয়। মনে করে সব চিন্তা শেষ। আসলে কি তাই? ক্যারিয়ারের উন্নতি চাইলে ভুলেও এমনটা করবেন না। সব সময় অফিসের বিষয়গুলোতে সচেতন থাকতে হবে। আর কিছু অভ্যাস তো অবশ্যই বদলে ফেলতে হবে, যা আপনার ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট।
সম্প্রতি স্কুপহুপ ওয়েবসাইটে ক্যারিয়ার ধ্বংসকারী কিছু বদঅভ্যাসের তালিকা দেয়া হয়েছে। আপনিও দেখে নিতে পারেন সেগুলো।
১. দুর্বল সহকর্মীকে অবজ্ঞা
আপনি হয়তো অনেক দক্ষ একজন কর্মী। কিন্তু আপনার টিমের কেউ দুর্বল। তাই বলে কখনোই তাদেরকে অবহেলা বা উপহাস করবেন না। এটা আপনার ক্যারিয়ারের জন্য ক্ষতি বড় কারণ। ভালো ক্যারিয়ার চাইলে, সহকর্মীকে গুরুত্ব দিন। কোনো বিষয়ে তার দুর্বলতা থাকলে সেটি কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করুন। এতে ওই সহকর্মী যেমন আপনাকে শ্রদ্ধা করবে, অফিসও আপনাকে ক্রেডিট দেবে।
২. না পারা বিষয়ে প্রতিশ্রুতি
সহকর্মী বা বসের সঙ্গে এমন কোনো প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ হবেন না, যা রক্ষা করা যাবে না। আর যদি কথা দিতেই হয়, তাহলে সেটা যেভাবেই হোক রক্ষা করার চেষ্টা করুন।
৩. শেষ মুহূর্তে তোড়জোড়
সব সময় শেষ মুহূর্তে কাজ শেষ করা ভালো অভ্যাস নয়। একবার বা দু’বার হতে পারে, কিন্তু সেটিরও যৌক্তিক কারণ থাকতে হবে। সব সময় যদি আপনি এমনটা করতে থাকেন, তাহলে বস আপনাকে ভালো চোখে দেখবে না, খুবই বিরক্ত হবেন।
৪. অন্যের কাজে ব্যাঘাত
কোনোভাবেই সহকর্মীদের কাজে ব্যাঘাত ঘটাবেন না। কারণ এতে সহকর্মীরা আপনার থেকে দূরে দূরে থাকার চেষ্টা করবে। টিম স্পিরিট নষ্ট করার দোষে আপনি দুষ্ট হতে পারেন।
৫. কথা লাগান
কোনো সহকর্মীর বিরুদ্ধে অন্য সহকর্মীদের কাছে কথা বলার অভ্যাস ত্যাগ করুন। এমনকি সহকর্মীদের কথা বসের সঙ্গে, বসের কথা সহকর্মীর সঙ্গে শেয়ার করাও ঠিক না। এতে আপনার ব্যক্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
৬ . কথা না শোনা
ক্যারিয়ারের উন্নতি চাইলে অফিসে সবার কথা মন দিয়ে শুনুন। কখনোই এ বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করবেন না। বিশেষ করে বসের আদেশ, নিষেধ, কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। কোনো বিষয়ে দ্বিমত থাকলে বুঝিয়ে বলুন।
৭. সব কিছুতে হ্যাঁ বলা
অফিসের সবকিছুতেই হ্যাঁ বলা কি ভালো, না খারাপ? উত্তর হলো- খারাপ। সবকিছুতেই রাজি হয়ে যাওয়াটা আপনার ক্যারিয়ার নষ্ট করে দেবে। এটা ঠিক যে, হ্যাঁ বলার জন্য আপনার বস ও সহকর্মীরা আপনার ওপর অনেক খুশি হবেন, তবুও যদি ক্যারিয়ার বাঁচাতে চান, তাহলে ‘না’ বলতে শিখুন। তবে যুক্তি ছাড়াই বস বা সহকর্মীর কথায় না বলাটা আবার ঝুঁকিপূর্ণ। আপনি কেন তার কথায় একমত নয় তা সুন্দরভাবে তুলে ধরতে হবে।
৮. গতানুগতিক কাজ
গতানুগতিকভাবে চাকরি করতে থাকলে একসময় আপনার ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হয়তো আপনার চাকরি যাওয়ার যাবে না। তবে আপনার উন্নতিও হবে না।
তাই অফিসে সিরিয়াস হওয়াটা খুবই জরুরি। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিয়মিত পড়াশোনা করাও ক্যারিয়ারের জন্য অপরিহার্য।
৯. ইগো
অফিসে নিজের ইগো ধরে রাখলে আপনার ভবিষ্যতই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সহকর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রাণবন্ত আচরণ আপনার ক্যারিয়ারের জন্যই ভালো।
১০. অফিসের বদনাম করা
চাকরিটা ভালো না লাগলে ছেড়ে দিন। চাকরিও ছাড়বেন না, আবার সহকর্মীদের সঙ্গে অফিসের বদনাম করবেন, এটা আপনার ক্যারিয়ারের ওপর অনেক বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।