বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করে বা বিদেশে পণ্য রপ্তানি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেকেই। তবে ইচ্ছা করলেই পণ্য আমদানি বা রপ্তানি করা যায় না। পণ্য আমদানির জন্য দরকার হবে ইমপোর্ট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট বা আইআরসি আর রপ্তানির জন্য দরকার হবে এক্সপোর্ট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট বা ইআরসি। কোথা থেকে, কিভাবে, কত টাকা খরচে পাওয়া যাবে আইআরসি এবং ইআরসি।
আমদানি নিবন্ধন সনদপত্র ও রপ্তানি নিবন্ধন সনদপত্র প্রাপ্তির পদ্ধতি সহজ ও স্বচ্ছ। আবেদনপত্রের সঙ্গে নির্দিষ্ট কাগজপত্র দাখিল করলে এক দিনের মধ্যেই পাওয়া যায় আমদানি বা রপ্তানি সনদ।
আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের দপ্তর বা প্রধান আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের ওয়েবসাইট (www.ccie.gov.bd) থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করা যাবে। আবেদনপত্র ঠিকভাবে পূরণ করে নিচের কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে :
* ট্রেড লাইসেন্স
* চেম্বার অথবা স্বীকৃত ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের বৈধ সদস্যের সনদপত্র
* টিআইএন
* ব্যাংক প্রত্যয়নপত্র
* লিমিটেড কম্পানির ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রার, জয়েন্ট স্টক কম্পানি কর্তৃক অনুমোদিত সংঘ স্মারক ও সংঘবিধি এবং সার্টিফিকেট অব ইন করপোরেশন।
ফি
আমদানিকারকরা বার্ষিক মোট আমদানি মূল্যসীমার ভিত্তিতে ছয় শ্রেণিতে আমদানি নিবন্ধন সনদপত্র পেয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক নিবন্ধন ফি পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা। আর বার্ষিক নবায়ন ফি তিন থেকে ৩০ হাজার টাকা।
অন্যদিকে রপ্তানি নিবন্ধন সনদপত্রের ক্ষেত্রে প্রাথমিক নিবন্ধন ফি সাত থেকে ৪০ হাজার টাকা। আর বার্ষিক নবায়ন ফি পাঁচ থেকে ২০ হাজার টাকা। এ ছাড়া যেকোনো তথ্য বা সহযোগিতার ক্ষেত্রে যোগাযোগ করা যেতে পারে-
প্রধান আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের দপ্তর
১১১-১১৩, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০
ফোন : ৯৫৫১৫৫৬।
ওয়েব : www.ccie.gov.bd
সূত্র : কালের কণ্ঠ