মানসূরা আক্তার মৌ : আসসালামু আলাইকুম! কেমন আছেন সবাই? আলহামদুলিল্লাহ। আমরা সবাই ভালো আছি। কারণ পরিস্থিতি এর চেয়ে ও খারাপ হতে পারত! তাই সব পরিস্থিতিতেই আনন্দের সাথে থাকা উচিত।
আজ আমরা কিছু “আন্তরিক আচরণ” সম্পর্কে জানব যা হৃদয়কে আনন্দ দেয়। তাহলে আর দেরি কেন? কথা না বাড়িয়ে জেনে নিই এমন কিছু আচরণ সম্পর্কে যা আমাদের সম্পর্ককে করে তুলবে আরো শক্তিশালী, আরো সুন্দর।
১. আমাদের সবারই কমবেশি বন্ধু বা আত্মীয়-স্বজন আছে। হয়তো কখনো বন্ধু বা আত্মীয়ের সাথে দেখা করতে রিকশা বা বাসে করে যাই। যদি আমাদের সাথে কেউ দেখা করতে আসে তাকে যাওয়ার সময় বাসে বা রিকশায় তুলে দিয়ে ভাড়াটা আমরা দিতে পারি।
যেমন : আমি বাসায় গেলে ভাইয়া এমন করেন। এছাড়া আমার এক বান্ধবী আছে, যার সাথে দেখা করে যাওয়ার সময় আমাকে রিকশায় তুলে ভাড়া দিয়ে দেয়। সারাটা পথ ওর কথা ভাবতে ভাবতে আসি। মনে হয় ভাইয়ার পরে ওই আমার সবচেয়ে বেশি কেয়ার করে। বিষয়টি একটু কেমন যেন লাগছে তাই না? কিন্তু বিশ্বাস করুন অপর পক্ষ আপনার আন্তরিকতায় মুগ্ধ হতে বাধ্য।
২. ফোনে বা সরাসরি সাক্ষাৎকারের সময় শুধু ওই মানুষটির (বন্ধু বা আত্মীয়) না বরং তার পুরো পরিবার এর খোঁজ নিন। আপনার এই আচরণ তার মনে দাগ কাটবে।
৩. বন্ধু ভালো result করলে treat চাই বলে তাকে পাগল করে দিই। কিন্তু উচিত হচ্ছে- তাকে আরো বেশি উৎসাহিত করতে উপহার দেয়া। কমপক্ষে ১টি কলম হলেও। বন্ধুর অর্জনকে আপনি এভাবেই celebrate করবেন।
৪. বই, খাতা, কলম, নোট শেয়ারের মাধ্যমে আন্তরিকতা ধরা পরে। আমরা অধিকাংশই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান! শেয়ারিং আর কেয়ারিংটা আমাদের সম্পর্ককে আরো মজবুত করে।
৫. ভালোবাসুন তাকে। আন্তরিকতা মানুষ অনুভব করতে সাহায্য করে। কারো প্রতি যদি আপনার মমতা থাকে সে আপনার আচরণেই উপলব্ধি করবে।
৬. সৎ পরামর্শ দিবেন তাকে। যদি সে চলে যায় তবুও। কারণ একটা সময় সে বুঝবে একমাত্র আপনিই ছিলেন তার শুভাকাঙ্খী!
৭. মিসকল না বরং ফোন কেটে মাঝে মাঝে তাকে কল ব্যাক করুন।
৮. তার সাথে ভালো আলোচনা বা কাজে মেতে উঠুন। আপনার সৎকর্ম তার চোখে আপনাকে আদর্শরূপে উপস্থাপন করবে।
লেখক : শিক্ষার্থী, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
[লেখাটি কেমন লাগল অথবা সম্পর্কোন্নয়নে এমন আর কী আচরণ করা যেতে পারে তা জানান কমেন্টে। ]