কর্মজীবনে প্রবেশের আগে সবচেয়ে বড় যে সমস্যায় পড়তে হয়, তা হলো সিদ্ধান্তহীনতা। কোন পথে ক্যারিয়ার শুরু করবেন বা কোন পথটি আপনার মনের মতো ইত্যাদি বুঝে উঠতেই বড় একটা সময় ব্যয় হয়ে যায়। অথচ যে সময় নষ্ট হয় তা আর ফিরবে না। এখানে সময় নষ্ট না করে আপনি কিভাবে সঠিক পথটি বেছে নেবেন, তার জন্য কিছু পরামর্শ দেয়া হলো।
সমন্বয়
মনের মতো চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতার সাথে আপনার শিক্ষাজীবনের সার্টিফিকেটগুলোর মিল রয়েছে কি না দেখুন। শিক্ষা থেকে শুরু করে অভিজ্ঞতার তালিকা করে দেখুন, সেখানে আর কিসের অভাব রয়েছে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
বর্তমান যুগে ভালো চাকরির জন্য ন্যূনতম ব্যাচেলর ডিগ্রির প্রয়োজন হয়। তার সাথে পছন্দের কাজের ক্ষেত্রে যদি এক বা দুই বছরের কোনো কোর্সের সার্টিফিকেট যোগ করতে পারেন, তাহলে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগিয়ে থাকতে পারবেন অনায়াসে।
অভিজ্ঞতা
যদি কলেজে পড়া অবস্থায় পছন্দের ক্ষেত্রে পার্ট টাইম চাকরি করেন, তবে শিক্ষাজীবন শেষে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ভালো চাকরি পাওয়া সহজ হবে। তা ছাড়া ইন্টার্নশিপের অভিজ্ঞতাকেও কাজে লাগাতে পারেন।
ভার্চুয়াল দুনিয়ায় সক্রিয়তা
আধুনিক যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চাকরি পাওয়ার বড় ক্ষেত্র। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু সময় দিন। অনেকের খোঁজ সহজে পাবেন এবং পরামর্শও মিলবে।
সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে
দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন। ‘দ্য সুনার, দ্য বেটার’ কথাটি মেনে চলুন। নিজের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবেন না। ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন। নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিতে শিখুন। সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অন্যের কাছে হাত পাতবেন না। তবে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের বেলায় বন্ধুবান্ধব, সহকর্মীর পরামর্শ নিন। পারিবারিক সিদ্ধান্ত নিতে সব সদস্যের মতামতকে গুরুত্ব দিন। সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে গেলে তার ভালো-মন্দের হিসাব কষতে উঠেপড়ে লাগবেন না। এবার মাঠে নামুন। নিজেকে প্রস্তুত করে আপনার মনের মতো প্রতিষ্ঠানে ঢুঁ মারুন, চাকরি পেয়ে যাবেন।
মনে রাখবেন, স্কুলপড়ুয়া কিশোর থেকে শুরু করে অবসর নেয়া প্রবীণ ব্যক্তিও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে থাকেন। একটা ভালো সিদ্ধান্ত জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। আবার ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে সারা জীবনের কান্না। সিদ্ধান্ত নিতে তাই সিদ্ধহস্ত হতে হবে।