৬ উপায়ে আপ্রগ্রেড করুন আপনার ব্রেইনের অপারেটিং সিস্টেম

৬ উপায়ে আপ্রগ্রেড করুন আপনার ব্রেইনের অপারেটিং সিস্টেম

আপনার  কখনও মনে হয়- মস্তিষ্ক যেন পুরনো সফটওয়্যারে চলছে? চলুন মস্তিষ্কের অপারেটিং সিস্টেমকে আপগ্রেড করি ৬টি শক্তিশালী কৌশলের মাধ্যমে। কর্মক্ষেত্র, পরিবার এবং অন্যান্য কাজে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এগুলো দারুণ সহায়ক হতে পারে।

১. ৮০/২০ নিয়ম:

আপনার কোন ২০% প্রচেষ্টা ৮০% ফলাফল নিয়ে আসে? সেই জায়গায় মনোযোগ দিন। উদাহরণ: কোন ক্লায়েন্ট বা প্রকল্পগুলো আপনার সফলতার মূল চালিকাশক্তি? তাদের অগ্রাধিকার দিন।

২. ফার্স্ট প্রিন্সিপলস থিংকিং (মূল ভিত্তির চিন্তা):

ধারণাগুলো সরিয়ে ফেলুন। আসলে আপনি কোন মূল সমস্যার সমাধান করছেন?

“কেন” প্রশ্নটি বারবার করুন, যতক্ষণ না মূল সত্যে পৌঁছান, তারপর সেই ভিত্তির উপর সমাধান গড়ে তুলুন।

৩. ইনভার্শন (উল্টো চিন্তা):

আপনার দৃষ্টিভঙ্গি উল্টো করুন। “আমি কিভাবে X অর্জন করতে পারি?” এর পরিবর্তে জিজ্ঞেস করুন, “কী আমাকে X অর্জন থেকে বিরত রাখছে?”

উপলব্ধির মুহূর্ত: পারিবারিক সময় কাটাতে সমস্যা? “কিভাবে আমরা আরও বেশি সময় একসাথে কাটাতে পারি?” জিজ্ঞাসার পরিবর্তে বলুন “কী কারণে আমরা আলাদা থাকছি?”

এরপর সেই বাধাগুলো সরিয়ে ফেলুন।

৪. সুযোগের মূল্য (অপরচুনিটি কস্ট):

মনে রাখুন, একটি জিনিসে “হ্যাঁ” বলার মানে অন্য একটি জিনিসে “না” বলা। তাই কোনো কিছু বেছে নিন বুদ্ধিমত্তার সাথে। শুধু তাৎক্ষণিক খরচ নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে যা ত্যাগ করছেন বা খরচ করছেন তা বিবেচনা করুন।

৫. দক্ষতার গণ্ডি (সার্কেল অফ কম্পিটেন্স):

আপনার শক্তির জায়গাগুলো চিনুন। সেখানেই কাজ করুন সেরা ফলাফলের জন্য।

যেসব কাজ এই গণ্ডির বাইরে, তা আউটসোর্স বা ডেলিগেট করুন, যাতে সময় ও শক্তি বাঁচে।

৬. দ্বিতীয় স্তরের চিন্তা (সেকেন্ড-অর্ডার থিংকিং):

ডমিনো প্রভাব বিবেচনা করুন। একটি ঘটনা ঘটার পর কী ঘটবে?

স্বল্পমেয়াদী সমাধানগুলো অনেক সময় দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই দুই ধাপ সামনে চিন্তা করুন।

সাহসী চ্যালেঞ্জ: যেকোনো একটি মডেল বেছে নিন এবং এই সপ্তাহে আপনার সামনে থাকা একটি সিদ্ধান্তে তা প্রয়োগ করুন। এটি আপনার জন্য নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসতে পারে।

ক্যারিয়ার, ট্রেনিং ও স্কলারশিপ সম্পর্কে
exclusive তথ্য পেতে ফেসবুক গ্রুপে
জয়েন করুন-

Career Intelligence | My Career Partner

Scroll to Top