মো: বাকীবিল্লাহ : মানুষের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান বিষয় হলে তার ব্যক্তিত্ব। ব্যক্তিত্ববান মানুষ সকলের কাছে শ্রদ্ধার পাত্রও বটে। সাধারণ মানুষ এ ধরনের লোকদেরকে যে কোনো ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্ব অর্পন করে। তবে, সুন্দর ব্যক্তিত্ব গঠন অতটা সহজ নয়। জ্ঞান-বুদ্ধি বিবেক ও কৌশল খাটিয়ে চলার মাধ্যমে এটি অর্জন করতে হয়। এ নিবন্ধে আমরা আলোকপাত করব ব্যক্তিত্ববান মানুষ হওয়ার উপায় সম্পর্কে।
ব্যক্তিত্ববান মানুষ হওয়ার ৬ টিপস
সঠিক পোশাক নির্বাচন করুন
যদিও বলা হয়- পোশাকে নয়, ব্যবহারেই বংশের পরিচয়। তবে- ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে পোশাকও কম ভুমিকা রাখে না। বেমানান পোশাক পরলে একদিকে যেমন তা দৃষ্টিকটু, তেমনি তা আপনার ব্যক্তিত্বও ক্ষুণ্ন করতে পারে। তাই যতটা সম্ভব দেহের গড়ন ও বয়সের সাথে মানানসই পোশাক পরিধান করুন। এক্ষেত্রে অফিস থেকে বিয়েবাড়ি পর্যন্ত কোন জায়গায় কোন ধরনের পোশাক পরা উচিত তা অবশ্যই আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। আর মানানসই শালীন পোশাকে আপনার রুচি-বোধের পাশাপাশি ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠবে অনেক বেশি।
আত্নবিশ্বাস বাড়ান
আত্মবিশ্বাসই সফলতার চাবিকাঠি। আর এটি একজন মানুষকে খুব সহজেই ব্যক্তিত্ববান বানিয়ে তোলে।আপনি আত্মবিশ্বাসী হলে আপনার কথাবার্তা ও ব্যক্তিত্বেও সেটা ফুটে উঠবে।কম আত্মবিশ্বাসী হলে একজন মানুষ কখনোই ব্যক্তিত্ববান হয়ে উঠতে পারে না। তাই ব্যক্তিত্ববান হতে চাইলে আত্মবিশ্বাসী হোন।
সামাজিকতা রক্ষা করুন
মানুষকে সমাজের অনেক রীতিনীতি ও দায়িত্ব পালন করতে হয়। আর কারো সাথে পরিচিত হওয়া ও কুশলাদি জিজ্ঞেস করার মাধ্যমেও এই সামাজিকতার প্রকাশ ঘটে। সামাজিকতা পালন না করে নিজেকে গুটিয়ে রাখলে কখনই কারো ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায় না। এতে করে অপরিচিত মানুষকে জানার সুযোগও হারিয়ে যায়। কাজেই ব্যক্তিত্ববান হতে চাইলে সামাজিকতা রক্ষা করে চলুন। সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলুন।
সুন্দরভাবে কথা বলুন
মানুষের সাথে সুন্দরভাবে কথা বলুন। শুদ্ধ ভাষায়, স্পষ্ট উচ্চারণে গুছিয়ে কথা বলুন। আঞ্চলিকতা পরিহার করুন।
সুন্দর বাচনভঙ্গির দিকে খেয়াল রাখুন। কারো সাথে কথা বলার সময় তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন। এতে আপনার ব্যক্তিত্ব সুন্দরভাবে ফুঁটে উঠবে।
কথা ও কাজের মিল
কথা ও কাজের মিল রাখতে না পারলে তা আপনার ব্যক্তিত্বকে শূন্যে নামিয়ে নিয়ে আসবে। যে কথা আপনার পক্ষে রাখা সম্ভব নয়, তেমন কথা কাউকে দিবেন না। কথা দিয়ে যদি কোনোভাবেই রাখা সম্ভব না হয়, তবে সময় থাকতেই তা সংশ্লিষ্টকে জানিয়ে দিন। এতে আপনার ব্যক্তিত্ব কমবে না, বরং বাড়বে।
ব্যক্তিত্ববান মানুষ হতে ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা
ইতিবাচক চিন্তাভাবনা কোনো কঠিন কাজকেও মানুষের জন্য সহজ করে তোলে। তাই সফলতার জন্য এটি অনেক বেশি দরকার। ইতিবাচক চিন্তা একজন মানুষকে অন্যের কাছে সমাদৃত করে। সবাই তাকে পছন্দ করে। তার সাহচর্য প্রত্যাশা করে। ফলে তিনি হয়ে ওঠেন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব।
অন্যদিকে নেতিবাচক চিন্তার মানুষ সারাক্ষণই হতাশা, দুঃখ ও বিষণ্নতায় ভোগে। ফলে সে সবার সাথে মিশতে পারে না। কেউ তার কাছে আসলে হতাশ হয়ে ফিরে যান। ফলে নেতিবাচক চিন্তার লোকটি আরো বেশি হতাশ হয়ে পড়ে। অন্যের উন্নতি দেখা ঈর্ষাকাতর হয়। যা তার ব্যক্তিত্বকে আরো বেশি মাত্রায় ক্ষুণ্ন করে।
তাই ব্যক্তিত্ববান হতে চাইলে সকল পরিস্থিতিতেই ইতিবাচক চিন্তা করুন।