ফরিদা আক্তার ফারজানা : SMART লক্ষ্য নির্ধারণ পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় একটি ধারণা। কখনো কি এমন মনে হয়েছে যে, আপনি সফলতার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাচ্ছেন না? অথবা, আপনি দীর্ঘদিন ধরে কোনো কাজ করে যাচ্ছেন কিন্তু খুব সামান্য উন্নতি/দক্ষতা অর্জিত হচ্ছে?
অনেকেই আছেন, যারা এক পেশা থেকে অন্য পেশায় যান, কঠোর পরিশ্রম করেন। কিন্তু খুব কমই সফলতা পান। অথচ তারা সুনির্দিষ্ট কিছু উপায় অবলম্বন করে অল্পপরিশ্রমের মাধ্যমেই কাজটি সম্পন্ন করে ফেলতে পারতেন এবং আশানুরূপ ফলাফলও হয়তো পেতেন।
আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই কোনো না কোনো স্বপ্ন থাকে। অনেকেই সেই স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশ্যে কঠোর পরিশ্রম করেন। কিন্তু অনেকসময়ই দেখা যায় সফলতা মিলছে না। সফলতা অর্জনের জন্য সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ অত্যন্ত জরুরি ।
আমেরিকান লেখক Bill Copeland লক্ষ্য নির্ধারণ সম্পর্কে বলেছেন- The Trouble with not having a goal is that you can spend your life running up and down the field and never score”. অর্থাৎ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য না থাকলে আপনি যতই কঠোর পরিশ্রম করুন সেটার যথার্থ ফলাফল আসবে না।
লক্ষ্য নির্ধারণ করলেই হবে না বরং সুনির্দিষ্ট উপায়ে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্য অর্জনে সবচেয়ে সুনির্দিষ্ট ও কার্যকর পদ্ধতিটি হলো- “SMART Goal Setting Method”.
এই নিবন্ধে আমরা জানবো SMART goal setting Method কী এবং কিভাবে এই পদ্ধতিকে আমরা আমাদের জীবনের লক্ষ্যপূরণে কাজে লাগাতে পারি।
SMART লক্ষ্য নির্ধারণ পদ্ধতি কী?
SMART হলো লক্ষ নির্ধারণের মানদণ্ডের একটি Acronym বা সংক্ষিপ্ত রূপ। যার মাধ্যমে আপনি আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ ও অর্জনে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা পাবেন। ১৯৮১ সালের নভেম্বর মাসে জর্জ টি ডোরান প্রথম এই ধারণাটি সামনে আনেন। পরবর্তীতে অধ্যাপক রবার্ট এস রুবিন তার ‘দ্য সোসাইটি ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড অর্গানাইজেশনাল সাইকোলজি’ নিবন্ধে SMART সম্পর্কে লিখেছেন এই পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির কাছে আলাদা অর্থ বহন করে। আপনার লক্ষ্যগুলি স্পষ্ট এবং অর্জনযোগ্য করার জন্য মানদণ্ডগুলোর অর্থ জেনে নিতে হবে।
SMART সংক্ষিপ্ত রূপ। এর বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখতে পাই-
S: Specific (simple, significant, sensible)
M: Measurable (meaningful, motivating)
A: Achievable (agreed, attainable)
R: Relevant (realistic, reasonable and resourced, result-based)
T : Time Bound (time limited, timely)
অর্থাৎ লক্ষ্য নির্ধারণ পদ্ধতির ৫টি মানদণ্ড হলো-
১. সুনির্দিষ্ট
২. পরিমাপযোগ্য/ অর্থবহ
৩. অর্জনযোগ্য
৪. প্রাসঙ্গিক
৫. সময়সীমা
লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে এই ৫টি মানদণ্ড অনুসারে চললে আমাদের লক্ষ্য নির্ধারণের ধারণা আরো সুস্পষ্ট এবং ফলপ্রসূ হবে।
অধ্যাপক রুবিন আরও উল্লেখ করেছেন যে SMART অ্যাক্রোনিমটির কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য এটাকে কখনো কিছুটা আপডেট করার প্রয়োজন হতে পারে। যেমন কিছু লেখক, অতিরিক্ত ফোকাসের ক্ষেত্রগুলি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য SMART -কে প্রসারিত করে বলেছেন SMARTER. তারা E ও R -এর মাধ্যমে Evaluated ও Reviewed শব্দদ্বয়কে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
SMART পদ্ধতির ব্যবহার
Success Motivation International- এর প্রতিষ্ঠাতা, লেখক এবং ব্যবসায়ী Paul J. Meyer ২০০৩ সালে তার “Attitude Is Everything: If You Want to Succeed Above and Beyond” বইয়ে ‘SMART’ লক্ষ্য নির্ধারণ পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করেন। এই আলোচনার মাধ্যমে দেখবো কিভাবে এর মাধ্যমে আমরা আমাদের লক্ষ্যনির্ধারণ ও বিকাশ ঘটাতে পারি।
১. সুনির্দিষ্ট (Specific)
আপনার লক্ষ্যটি সুস্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট হওয়া উচিত। অন্যথায় আপনি আপনার প্রচেষ্টাগুলিতে মনোযোগ দিতে পারবেন না। লক্ষ্যের মধ্যে যেন কোনো অসংগতি না থাকে। লক্ষ্য যত সুস্পষ্ট হবে তত দ্রুত সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন।
যেমন- অনেকেই বলেন, আমি সুখী হতে চাই, ধনী হতে চাই, সাফল্য পেতে চাই ইত্যাদি। এগুলি কোনো লক্ষ্য নয়, কেবল একটি ইচ্ছা মাত্র। কারণ এগুলো সুনির্দিষ্ট এবং সুস্পষ্ট নয়। জীবনে অনেক ক্ষেত্রেই হয়তো ছোট ছোট সফলতা আসবে অথবা ছোটখাটো খুশির মুহূর্তেও আপনি সুখ অনুভব করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার লক্ষ্যটি সুনির্দিষ্ট নয়।
অপরপক্ষে ধরুন, আপনি বর্তমানে কোনো জব সেক্টরে মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ মেম্বার হিসেবে কাজ করছেন। আপনি যদি মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের পরিচালক হয়ে আপনার ক্যারিয়ার তৈরি এবং সফল নেতৃত্ব দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেন তখন সেটি হবে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য। অথবা, আপনি যদি ৩ বিলিয়ন ডলার আয় করে ধনী হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেন তখন আপনার লক্ষ্যটি হবে সুস্পষ্ট ।
সুতরাং আমরা যার জন্য আমরা চেষ্টা করছি সেটি সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করি তখন আমাদের মস্তিস্ক বুঝতে পারে যে আমরা কিসের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের অবচেতন মন একটি খুব শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে ওঠে। যদি আমরা ‘আমি সুখ চাই’ লক্ষ্যটি স্থির করি, তবে অবচেতন মন এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য সিনেমার একটি সাধারণ ভ্রমণ বিবেচনা করতে পারে এবং এটির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। এজন্য সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ অত্যন্ত জরুরি।
লক্ষ্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে পাঁচটি ‘W’ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন:
What do I want to accomplish?
আমি কী অর্জন করতে চাই?
Why is this goal important?
কেন এই লক্ষ্য গুরুত্বপূর্ণ?
Who is involved?
কে যুক্ত?
Where is it located?
এটি কোথায় অবস্থিত?
Which resources or limits are involved?
কোন সম্পদ বা সীমাবদ্ধতা জড়িত?
২. পরিমাপযোগ্য (Measurable)
আপনি যে লক্ষ্য ঠিক করবেন সেটা যেন অবশ্যই পরিমাপযোগ্য হতে হবে। বলা হয় – What Cannot be Measured, Cannot be Improved.
অর্থাৎ যেটা পরিমাপ করা যায় না, তার উন্নয়ন করা যায় না।
আপনার লক্ষ্য পরিমাপ করতে ৩টি প্রশ্ন করুন-
১. কতটুকু কাজ শেষ করবেন?
২. কতগুলো কাজ শেষ করবেন?
৩. এটি সম্পন্ন হলে কিভাবে জানব?
উদাহরণস্বরূপ বলা যায় : আপনি মার্কেটিং বিভাগের প্রধান হতে চাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে আপনি প্রয়োজনীয় কোন প্রশিক্ষণ কোর্সটি সম্পন্ন করবেন এবং পাঁচ বছরের মধ্যে কী প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন তা নির্ধারণ করুন। এর মাধ্যমে আপনি বিপণনের প্রধান হওয়ার দক্ষতা অর্জনের আপনার লক্ষ্যটি পরিমাপ করতে পারবেন।
৩. অর্জনযোগ্য (Achievable)
আপনি যে লক্ষ্যটি নির্ধারণ করবেন সেটি হতে হবে অর্জনযোগ্য। লক্ষ্যে অগ্রসর হওয়ার পথে যত বাধা বিপত্তিই আসুক না কেন সেগুলো কাটিয়ে উঠে লক্ষ্য অর্জনের সামর্থ্য ও সম্ভাব্যতা যেন থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। লক্ষ্য যদি অর্জনযোগ্য না হয় এবং আপনার সামর্থ্যের বাইরে হয় তবে সেটি আপনার জন্য হতাশার কারণ হতে পারে। লক্ষ্য নির্ধারণ করার সময় সেটা অর্জনযোগ্য কিনা তা জানতে দুইটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে:
১) আপনি কিভাবে এই লক্ষ্যটি অর্জন করতে পারবেন?
২) আপনার আর্থিক ও পারিপার্শ্বিক প্রতিবন্ধকতার উপর ভিত্তি করে লক্ষ্যটি কতটা বাস্তবসম্মত এবং যৌক্তিক?
ধরুন, আপনি ঠিক করলেন আপনি একমাসেই আপনার জব সেক্টরে নির্ধারিত পজিশনে প্রমোশান পাওয়ার জন্য যাবতীয় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফেলবেন। কিন্তু যে পজিশনে প্রমোশনের লক্ষ্যে আপনি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাইছেন সেখানে সর্বনিম্ন দুইবছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। আপনি যে দক্ষতা অর্জন করতে চাচ্ছেন সেটার জন্য আরো অধিক সময়ের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছানো অসম্ভব এবং প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হবে। এতে করে আপনার লক্ষ্যটি অর্জনযোগ্য হবে না।
অথবা, আপনি ৩ বিলিয়ন ডলার পরিমাণ অর্থ অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন ব্যবসার মাধ্যমে। কিন্তু আপনার কাছে ব্যবসা শুরু করার মতো পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থ এবং মূলধন নেই। এক্ষেত্রে আপনার লক্ষ্য অর্জন বাধাগ্রস্ত হবে।
তাই, লক্ষ্য নির্ধারণের সময় খেয়াল রাখবেন আপনার লক্ষ্যটি অর্জনযোগ্য এবং আপনার সামর্থ্যের মধ্যে আছে কি-না। তাহলে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না।
৪. প্রাসঙ্গিক (Relevant)
প্রাসঙ্গিক হলো আপনি যে কাজটি অথবা যে লক্ষ্য নির্ধারণ করছেন তার সাথে নিবিড়ভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সম্পর্কিত সকল কাজ অথবা পদক্ষেপ। লক্ষ্য নির্ধারণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড হলো ‘প্রাসঙ্গিকতা’।
আমরা অনেকসময় আমাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করেও সেখানে পৌঁছাতে পারিনা। এর অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে, আমরা আমাদের লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এমন অনেক কাজ করে সময় পার করে ফেলি। অথবা আমাদের সিদ্ধান্ত এবং পদক্ষেপগুলো বাস্তবসম্মত হয় না। তাই, আপনার লক্ষ্য নির্ধারণে নিশ্চিত করুন আপনি যে কাজগুলো করছেন সেই কাজ আপনাকে আপনার লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে এবং আপনাকে লক্ষ্য অর্জনে আরও দায়বদ্ধ করে তুলছে। নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি ইতিবাচক হয় তবে তা নিশ্চিত করে আপনার লক্ষ্যটি প্রাসঙ্গিক।
১) এটি কি সার্থক বলে মনে হচ্ছে?
২) এটা কি সঠিক সময়?
৩) এটি কি আমাদের অন্যান্য প্রচেষ্টা / প্রয়োজনের সাথে মেলে?
৪) এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আমি কি সঠিক ব্যক্তি?
৫) এটি কি বর্তমান আর্থ-সামাজিক পরিবেশে প্রযোজ্য?
উদাহরণস্বরূপ, আপনি যে লক্ষ্যটি নির্ধারণ করেছিলেন মার্কেটিং সেক্টরের পরিচালক হবেন এবং নেতৃত্ব দিবেন সেই লক্ষ্যটি অর্জনের জন্য একমাস/একবছর কি সঠিক সময়। অথবা আপনি যে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন সেটা কি আপনার আকাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ? ওই বিভাগে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য আপনি কি সঠিক ব্যক্তি? যদি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর ‘হ্যাঁ’ হয় এবং আপনার কাজ অথবা সিদ্ধান্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় তাহলে আপনার লক্ষ্যটি প্রাসঙ্গিক এবং বাস্তবসম্মত হবে।
৫. সময়সীমা ( Time-bound)
আপনার লক্ষ্যটি ঠিক কত সময় পর অর্জন করবেন সেটি নির্ধারণ করে ফেলুন। যখন আপনার লক্ষ্যটি একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বাধা পড়বে তখন আপনার লক্ষ্যটি অর্জনে আরও একধাপ এগিয়ে থাকবেন। সময়সীমা নির্ধারণ করার ফলে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য অর্জনের জন্য স্বল্পমেয়াদী যে পদক্ষেপগুলো নিতে হয় সেগুলো সুনির্দিষ্ট হয় এবং আপনার লক্ষ্য অর্জনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
আপনি যদি আপনার কর্মক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেয়ার এবং পরিচালক হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেন তবে সেখানে পৌঁছানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে ফেলুন। এটি হতে পারে ১ বছর, ২ বছর বা ৫ বছর।
যখন আপনি সময়সীমা নির্ধারণ করেন তখন আপনার অবচেতন মন লক্ষ্য অর্জনের জন্য দায়বদ্ধ হবে এবং আপনাকে তাড়না দিবে। এবং আপনি যখন লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে আগামী এক সপ্তাহে, আগামী এক মাসে, আগামী ১/২ বছরে কী কী কাজ করবেন সেগুলো ঠিক করেন তখন আপনার লক্ষ্যে পৌঁছতে বেশি বেগ পেতে হবে না। খুব সহজেই এবং তুলনামূলক কম পরিশ্রমেই আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছতে এবং আকাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে পারেন।
SMART লক্ষ্য নির্ধারণ পদ্ধতির সুবিধা এবং অসুবিধা
SMART লক্ষ্য নির্ধারণ পদ্ধতি আপনার লক্ষ্যকে আরও সুস্পষ্ট, সুনির্দিষ্ট এবং কার্যকর করতে সাহায্য করে এবং আপনার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য অনুপ্রাণিত এবং উৎসাহিত করে। এই পদ্ধতি আপনাকে আপনার কাজে মনোনিবেশ করতে সহায়তা করে যার ফলে আপনার লক্ষ্যটি অর্জনযোগ্য হয়ে উঠে।
অনেকেই আবার এই লক্ষ্য নির্ধারণ পদ্ধতিকে অকার্যকর বলে আখ্যায়িত করেছেন। অনেকেই এই পদ্ধতি ভুল বুঝতে পারেন, এতে করে সৃজনশীলতা ও নমনীয়তার অভাব দেখা দেয় যা লক্ষ্য অর্জনে বাধা সৃষ্টি করে। তাই লক্ষ্য নির্ধারণ এর পূর্বে পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা আবশ্যক।
উপসংহার: আমাদের সবারই জীবনে লক্ষ্য থাকে। কিন্তু সঠিক দিকনির্দেশনা ও সিদ্ধান্তের অভাবে অথবা লক্ষ্যটি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা না থাকায় আমরা তা অর্জনে ব্যার্থ হই৷ তাই লক্ষ্য নির্ধারণ এবং তা অর্জনের উদ্দেশ্যে সঠিক পদ্ধতিতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য SMART লক্ষ্য নির্ধারণ পদ্ধতির প্রয়োগ হতে পারে ফলপ্রসূ হাতিয়ার।