কথোপকথন কিংবা আলাপচারিতায় যে ফোনটি আপনি ব্যবহার করছেন সে ফোনটি আপনার ক্যারিয়ারের জন্য কোন কোন ক্ষেত্রে বিশাল বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। যদি ফোনটির যথাযথ ব্যবহার আপনার জানা না থাকে। কারণ ফোনটির সাথে আপনার ব্যাবহারিক সম্পর্কটা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
আজকাল কর্পোরেট জগতে নিজের অবস্থান তৈরিতে কিংবা নিজের ভালো অবস্থান ধরে রাখতে ম্যানার্স বা ব্যবহার বেশ ভূমিকা রাখে বিষয়টি এখন আর নতুন নয়। যেমন ধরুন- অপরিচিত কোন ব্যক্তির সাথে কিংবা নতুন ক্লায়েন্টের সাথে অথবা চাকরির ইন্টারভিউয়ে অংশ নেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথম ফোন -এমন অনেক জীবনঘনিষ্ট ক্ষেত্রে টেলিফোন ব্যবহারের রয়েছে বেশ কিছু আদব-কায়দা। আসুন জেনে নিই এ সংক্রান্ত কিছু টিপস।
– টেলিফোন ধরা কিংবা কোন ব্যক্তিকে ফোন করার পর সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে আলাপ শুরু করুন। ফোন ধরে অথবা করেই মূল আলাপ করা থেকে বিরত থাকুন। ব্যক্তি অপরিচিত হলে তার পরিচয়টা জেনে নিন এবং নিজের পরিচয়টা দিন।
– মোবাইলে রুচিসম্মত রিংটোন ব্যবহার করুন। কারণ এর মধ্য দিয়ে কারো ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। সুতরাং সতর্ক থাকুন।
– কর্কশ বা উচ্চস্বরে কোন ব্যক্তির সাথে কথা বলা থেকে যতটা সম্ভব বিরত থাকুন। শিষ্ঠাচার বজায় রাখুন। না হলে আপনার প্রতি ফোনদাতার নেতিবাচক ধারণা তৈরি হতে পারে।
– কল আসলে ৩য় রিংটি বেজে ওঠার মধ্যে রিসিভ করার চেষ্টা করুন। খেয়াল করুন, যেখানে ফোন ধরেছেন জায়গাটি ফোন ধরার উপযুক্ত কিনা।
– কলারের ফোন লাউড স্পিকারে না শুনে স্বাভাবিকভাবে শোনার চেষ্টা করুন। কারণ এতে আপনার পাশের ব্যক্তির অসুবিধা হতে পারে। তাছাড়া ফোনে কলার তার ব্যক্তিগত কথাও বলতে পারেন। এছাড়া ফোনে লাউডস্পিকারে গান না শোনাই ভালো। দরকার হলে হেডফোন ব্যাবহার করুন।
– কারো ব্যক্তিগত ফোন রিসিভ করা থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে রিসিভ করলে ম্যাসেজটি অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পৌঁছে দিন।
– ল্যান্ডফোনের পাশে ছোট ডায়েরি ও কলম রাখুন। যাতে প্রয়োজনের সময় তা ব্যবহার করতে পারেন।
– টেলিফোনে অপ্রয়োজনীয় কথা না বলাই ভালো। কথা শেষ করে ফোনটি রেখে দিন। যার ফোন রিসিভ করেছেন তার সাথেই কথা বলার চেষ্টা করুন। আশেপাশের কারো সাথে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এতে যিনি ফোন করেছেন তিনি বিরক্ত হতে পারেন।
– মিটিং অথবা কোন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ফোন রিসিভ না করাই উত্তম। এসময় কোন ফোন আসলে কলারের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে পরে ফোন করবেন বলে আশ্বস্ত করুন। এক্ষেত্রে ফোন না ধরে এসএমএস পাঠাতে পারেন। যত্ন সহকারে কলারের ফোন নম্বরটি টুকে রাখুন যাতে পরে তাকে ফোন করতে পারেন।
– গভীর রাতে বা সকালে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ফোন করা উচিৎ নয়। কারণ এতে যাকে ফোন দিচ্ছেন তার ঘুমের বিঘ্ন ঘটতে পারে ও তিনি বিরক্ত হতে পারেন।
– জনবহুল কোন জায়গায় প্রিয়জনের সাথে অতিরিক্ত খোলামেলা কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। কারণ আপনার কথায় পাশের লোকটি অপ্রস্তুত বোধ করতে পারে।
– আপনজনদের সাথে থাকলে ফোনের কথা সংক্ষেপ করুন। পারলে যিনি ফোন দিয়েছেন তার সাথে পরে কথা বলার প্রতিশ্রুতি দিন।
– ফোনে নিম্নস্বরে কথা বলার অনুশীলন করুন। যাতে আপনার পাশের লোকটি বিরক্ত বোধ না করেন।
– বাসে কিংবা যানবাহনে পাশের যাত্রীর অসুবিধার কথা বিবেচনায় রাখুন। কথা সংক্ষেপ করুন। যতটা সম্ভব আস্তে কথা বলুন।
– নিজে ড্রাইভ করার সময় কোনভাবেই ফোন ধরবেন না। অতি জরুরি হলে গাড়ি থামিয়ে কথা বলুন।
– প্রার্থনার জায়গা, লাইব্রেরি, ক্লাসরুম, হাসপাতাল প্রভৃতি স্থানে মোবাইল ফোন সাইলেন্ট মুড কিংবা অফ করে রাখুন।