কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের আগে যে বিষয়টি সবার আগে নজর দেয়া উচিত তা হল সিভি। একটি ভালো পরিমার্জিত সিভি একজন চাকরিপ্রার্থীকে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে দেয়। যে কোনো চাকরির ক্ষেত্রে সিভির গুরুত্ব অসীম।
সিভির মাধ্যমে ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা থেকে আরম্ভ করে অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানা যায়। সিভিতে যদি সবকিছু ঠিকভাবে না উল্লেখ করা হয়, তাহলে চাকরি না হওয়ার আশঙ্কাই বেশি! অনেকে আছেন যোগ্যতা থাকার পরও ভালো সিভি করতে না পারার কারণে সুযোগ পান না কাঙ্ক্ষিত পদে।
একটি সুন্দর গ্রহণযোগ্য সিভি লেখার জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করা উচিত। নিচে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হলো।
১. বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়া যাবে না : সিভিতে এমন কিছু উল্লেখ করা যাবে না, যা বিভ্রান্তিকর। খুব সাধারণ তথ্যগুলো এড়িয়ে চলুন। সিভিতে আপনাকে বোঝাতে হবে, আপনি একটি চ্যালেঞ্জিং চাকরি খুঁজছেন এবং অনেক উন্নতি করতে চান। এছাড়া আরও কিছু বিষয়, যেমন চমৎকার কাজের দক্ষতা, চাপের মধ্যে ভালো কাজ করা; এসব লেখা এড়িয়ে চলুন।
২. বাড়িয়ে বলবেন না : সিভিতে মিথ্যা এবং অতিরঞ্জিত কিছু উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকুন। কখনও এগুলো চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে। চাকরিদাতা আপনার এসব তথ্য যাচাই করতে চাইতে পারে।
৩. সিভি বেশি বড় করবেন না : এ কথা সত্য, সিভির কোনো নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য নেই। আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার তথ্য বেশি হলে সিভি বড় হতে পারে। তবে সব সময় সিভি দুই পৃষ্ঠার ভেতর সীমাবদ্ধ রাখা উচিত। এতে করে সিভি দেখে আপনাকে মূল্যায়ন করতে সহজ হবে। বড় সিভি অনেক ক্ষেত্রে বিরক্তিকর মনে হতে পারে।
৪. সহজ-ই সুন্দর : অভিনব রঙিন এবং একাধিক ফন্ট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। সাধারণভাবে সিভি আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করুন।
৫. সিভি নকল করবেন না : আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন, যারা সিভি তৈরির জন্য খুব একটা কষ্ট করতে চান না। অন্যের সিভির তথ্য এদিক-সেদিক করে নিজের জন্য করেন। এটি একদম করবেন না। একটি সিভি সব সময়ের জন্য ব্যক্তিগত। অন্যের সিভি থেকে নকল করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। একটু সময় নিয়ে নিজের মতো করে সুন্দর একটি সিভি তৈরি করুন। দেখবেন, সামান্য একটু কষ্ট হলেও আপনি বড় কিছু অর্জন করতে পারবেন। তাছাড়া অন্যের সিভি কপি করতে গিয়ে অনেক সময় তার তথ্য থেকে যেতে পারে। যেটা আপনার জন্য হিতকর হবে না।