তেত্রিশতম বিসিএসের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যারা ক্যাডার পায়নি, তাদের মধ্য থেকে ২৮ জনকে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার তাদের এক মাসের মধ্যে যোগ দিতে বলে আদেশ জারি করেছে।
আদেশ বলা হয়েছে, ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের মধ্যে যারা প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডারে পদে সুপারিশকৃত নয়, এমন প্রার্থীদের মধ্যে ৬১ জনকে দ্বিতীয় শ্রেণির পদে নিয়োগে সুপারিশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
এই ৬১ জনের মধ্যে ২৮ জন নিয়োগের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করায় তাদের সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো।
নিয়োগপ্রাপ্ত দ্বিতীয় শ্রেণির এসব কর্মকর্তা চাকরির শুরুতে অষ্টম বেতন কাঠামো অনুযায়ী দশম গ্রেডে বেতন পাবেন।
নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিতে যোগ দিয়ে দুই বছর শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হবে। এই সময়ে অযোগ্য বিবেচিত হলে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই তাদের চাকরি থেকে অপসারণ করা যাবে।
শিক্ষানবিশকাল সন্তোষজনক বিবেচিত হলে বিধি মোতাবেক তারা চাকরিতে স্থায়ী হবেন বলে আদেশে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশের নাগরিক নয় এমন ব্যক্তিকে বিয়ে করলে বা বিয়ে করার অঙ্গীকারাবদ্ধ হলে তার নিয়োগ বাতিল হবে।
আদেশে বলা হয়, প্রার্থীকে আগামী এক মাসের মধ্যে পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগ দিতে হবে। এসময়ের মধ্যে কেউ যোগ না দিলে তার নিয়োগ বাতিল বলে গণ্য হবে।
৩৩তম বিসিএসের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৯৯১ জন উত্তীর্ণ হয়। এদের মধ্য থেকে ৮ হাজার ৫২৯ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি।
গত ৩১তম বিসিএস থেকে চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যারা ক্যাডার পায়নি তাদের মধ্য থেকে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দিচ্ছে পিএসসি।
বিসিএসে উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে (যারা ক্যাডার পায়নি) দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা নিয়োগে ২০১৪ সালের ১৬ জুন নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে সরকার।
কোনো বিসিএসের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ শেষ করার পর দ্বিতীয় শ্রেণির পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
বিসিএসের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যারা ক্যাডার পায়নি তাদের মধ্য থেকে যারা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ পেতে চান তাদেরকে আলাদাভাবে কমিশনে আবেদন করতে হয়েছিল।