কর্মক্ষেত্রে নিজেকেই স্বাচ্ছন্দ্যের পরিবেশ তৈরি করে নিতে হয়। তবে তারপরও নানা কারণে হতাশা ভর করতে পারে আপনার মনে। হতাশার কারণ অনুসন্ধান করে সমস্যা সমাধান করে এ পরিস্থিতি কাটানো যায়।কর্মক্ষেত্রে হতাশা নিজের কাজ আর ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়। নিজের ব্যক্তিত্ব আর ইতিবাচক আচরণের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে হতাশা আর বিষণ্নতা কাটাতে পারি আমরা।
কর্মক্ষেত্রে যা করবেন
- যে কারণে হতাশা তার কারণ বের করুন। তা সমাধানের চেষ্টা করুন।
- বেতন-ভাতা কিংবা পদোন্নতিসংশ্লিষ্ট বিষয়ে হতাশ হলে ঊর্ধ্বতন কর্তাকে জানানোই বুদ্ধিমানের কাজ।
- দীর্ঘদিন মনের মধ্যে কোনো হতাশা থাকলে তা কাজের ওপর প্রভাব ফেলে। এ ক্ষেত্রে সহকর্মী বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করুন।
- সহকর্মীর সাথে সম্পর্কজনিত কারণে হতাশায় ভুগলে বন্ধুত্ব আর ইতিবাচক আচরণের মাধ্যমে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে তুলুন।
- সহকর্মী আর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুললে কর্মক্ষেত্রে হতাশা বা বিষণ্নতার পরিবেশই তৈরি হয় না।
- হতাশা কাটাতে কোথাও থেকে বেড়িয়ে আসুন।
- একঘেয়ে কাজে হতাশা জন্মায়। সে ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে অফিসে নতুন কোনো কাজ করে দেখতে পারেন।
- ছুটির দিনগুলো বাড়িতে কিংবা সামাজিক কোনো সংগঠনে নিজেকে যুক্ত করে নতুন নতুন বন্ধুত্ব তৈরি করুন। এতে হতাশা অনেকাংশে কাটবে বলে আশা করা যায়।
- প্রয়োজনে মনোচিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
যা করবেন না
- হতাশা কারণে মানুষ অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগপ্রবণ হয়ে ওঠে। কর্মক্ষেত্রে অযথা অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকুন।
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কখনো নেতিবাচক মন্তব্য করবেন না। এতে পেশায় ক্ষতি হতে পারে।
- সহকর্মী বা ঊর্ধ্বতন কর্তাদের সাথে রাগারাগি কিংবা কটু কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
- কর্মক্ষেত্রে অযথা রাগারাগি কিংবা অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করবেন না।