ইন্টারভিউতে অকৃতকার্য হলে পাবলিক পরীক্ষার মতো তা আবার দেয়ার সুযোগ থাকে না। আর সবচেয়ে স্মার্ট ও যোগ্য প্রার্থীকেও ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়। ইন্টারভিউয়ের সময় তিনটা C মনে রাখতে হবে- cool, calm and confidence. এ নিবন্ধে প্রকাশিত ইন্টারভিউয়ের পরামর্শগুলো জেনে নিলে চাকরিপ্রার্থীদের প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হবে।
১. নিরব যোগাযোগের অনুশীলন করুন
সোজা হয়ে দাঁড়ানো, চোখে চোখ রাখা ও বলিষ্ঠ হ্যান্ডসেকের মতো আপনার ব্যক্তিত্ব প্রকাশকারি বিভিন্ন বিষয় অনুশীলন করুন। এগুলোই হবে কথাবার্তা শুরুর আগে আপনার ইন্টারভিউয়ের মাপকাঠি। এগুলোই আপনাকে নিয়ে যাবে দারুণ একটা ইন্টারভিউ বা তাড়াতাড়ি শেষ হওয়া কোনো ইন্টারভিউয়ের দিকে।
সোজা হয়ে দাঁড়ানো, চোখে চোখ রাখা ও বলিষ্ঠ হ্যান্ডসেকের মতো আপনার ব্যক্তিত্ব প্রকাশকারি বিভিন্ন বিষয় অনুশীলন করুন। এগুলোই হবে কথাবার্তা শুরুর আগে আপনার ইন্টারভিউয়ের মাপকাঠি। এগুলোই আপনাকে নিয়ে যাবে দারুণ একটা ইন্টারভিউ বা তাড়াতাড়ি শেষ হওয়া কোনো ইন্টারভিউয়ের দিকে।
২. প্রতিষ্ঠানের উপযোগী পোশাক পরুন
প্রচলিত সাধারণ পোশাক আপনার ইন্টারভিউয়ের জন্য উপযুক্ত নয়। চাকরিপ্রার্থীর জানা উচিত ইন্টারভিউতে কোন পোশাকটি পরা উচিত। আপনি সুট পরবেন কি না, তা নির্ভর করছে কোম্পানিটির রীতি ও আবেদনকারির পদটির উপর। সবচেয়ে ভালো হয় ইন্টারভিউয়ের আগেই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কেমন পোশাক পরছেন, সেটা লক্ষ্য করে সেই অনুযায়ী পোশাক পরলে।
প্রচলিত সাধারণ পোশাক আপনার ইন্টারভিউয়ের জন্য উপযুক্ত নয়। চাকরিপ্রার্থীর জানা উচিত ইন্টারভিউতে কোন পোশাকটি পরা উচিত। আপনি সুট পরবেন কি না, তা নির্ভর করছে কোম্পানিটির রীতি ও আবেদনকারির পদটির উপর। সবচেয়ে ভালো হয় ইন্টারভিউয়ের আগেই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কেমন পোশাক পরছেন, সেটা লক্ষ্য করে সেই অনুযায়ী পোশাক পরলে।
৩. শুনুন
ইন্টারভিউয়ের শুরু থেকেই তারা আপনাকে বিভিন্ন তথ্য দেবেন। সেগুলো মনযোগ দিয়ে না শুনলে আপনি অনেক সুযোগ মিস করবেন। ভালো যোগাযোগ দক্ষতায় আপনার অবশ্যই অন্য পক্ষের কথা শুনতে হবে ও সময়মতো জানাতে হবে যে, আপনি শুনেছেন। আপনার ইন্টারভিয়ারের দিকে মনযোগ দেওয়া খুবই জরুরি।
ইন্টারভিউয়ের শুরু থেকেই তারা আপনাকে বিভিন্ন তথ্য দেবেন। সেগুলো মনযোগ দিয়ে না শুনলে আপনি অনেক সুযোগ মিস করবেন। ভালো যোগাযোগ দক্ষতায় আপনার অবশ্যই অন্য পক্ষের কথা শুনতে হবে ও সময়মতো জানাতে হবে যে, আপনি শুনেছেন। আপনার ইন্টারভিয়ারের দিকে মনযোগ দেওয়া খুবই জরুরি।
৪. অতিরিক্ত কথা বলবেন না, যা জানা আছে তাই বলুন
প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা বলা ইন্টারভিউয়ের একটি বড় ভুল। ইন্টারভিউয়ে কোনো অজানা প্রশ্নের উত্তরে সম্পূর্ণ অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা একেবারেই অনুচিত। এতে আপনার চাকরির সম্ভাবনা নষ্ট হয়। ইন্টারভিউয়ের আগেই সার্কুলার দেখে তাদের প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে পড়াশোনা করে নিতে হবে।
প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা বলা ইন্টারভিউয়ের একটি বড় ভুল। ইন্টারভিউয়ে কোনো অজানা প্রশ্নের উত্তরে সম্পূর্ণ অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা একেবারেই অনুচিত। এতে আপনার চাকরির সম্ভাবনা নষ্ট হয়। ইন্টারভিউয়ের আগেই সার্কুলার দেখে তাদের প্রশ্নের ধরন সম্পর্কে পড়াশোনা করে নিতে হবে।
৫. বেশি বন্ধুবৎসল হবেন না
ইন্টারভিউ একটি পেশাদার বিষয়। এতে ব্যক্তিগত কথাবার্তা, বন্ধুত্ব ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে। এতে সর্বশক্তিতে চাকরিটিতে আপনি কতোটা যোগ্য, তা বর্ণনা করতে হবে। এতে সবসময় মনে রাখতে হবে আপনি একজন চাকরি প্রার্থী, অন্যকেউ নন।
ইন্টারভিউ একটি পেশাদার বিষয়। এতে ব্যক্তিগত কথাবার্তা, বন্ধুত্ব ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে। এতে সর্বশক্তিতে চাকরিটিতে আপনি কতোটা যোগ্য, তা বর্ণনা করতে হবে। এতে সবসময় মনে রাখতে হবে আপনি একজন চাকরি প্রার্থী, অন্যকেউ নন।
৬. সঠিক ভাষা ব্যবহার করুন
ইন্টারভিউতে আপনাকে অবশ্যই পেশাদারি ভাষা ব্যবহার করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে কোনো অরুচিকর কথাবার্তা বিষয়ে। এতে বয়স, বর্ণ, ধর্ম, রাজনীতি ও যৌন বিষয়ে অবমাননাকর বিষয় সবসময় এড়িয়ে চলতে হবে। এগুলোর ব্যতিক্রম হলে শীঘ্রই আপনাকে দরজার বাইরে চলে যেতে হবে।
ইন্টারভিউতে আপনাকে অবশ্যই পেশাদারি ভাষা ব্যবহার করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে কোনো অরুচিকর কথাবার্তা বিষয়ে। এতে বয়স, বর্ণ, ধর্ম, রাজনীতি ও যৌন বিষয়ে অবমাননাকর বিষয় সবসময় এড়িয়ে চলতে হবে। এগুলোর ব্যতিক্রম হলে শীঘ্রই আপনাকে দরজার বাইরে চলে যেতে হবে।
৭. অতিরিক্ত কনফিডেন্ট হবেন না
আচরণ আপনার চাকরির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইন্টারভিউতে আত্মপ্রত্যয়, পেশাদারিত্ব ও বিনয়ের সমন্বয় থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি নিজের যোগ্যতাকে প্রমাণ করতে গিয়েও অতিরিক্ত কনফিডেন্ট হবেন না।
আচরণ আপনার চাকরির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইন্টারভিউতে আত্মপ্রত্যয়, পেশাদারিত্ব ও বিনয়ের সমন্বয় থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি নিজের যোগ্যতাকে প্রমাণ করতে গিয়েও অতিরিক্ত কনফিডেন্ট হবেন না।
৮. যত্নের সঙ্গে প্রশ্নের উত্তর দিন
প্রত্যেক প্রশ্নের উত্তর যত্নের সঙ্গে দেওয়াটা ইন্টারভিউতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধরুন, আপনাকে কোনো একটি মাসে বা বছরে কী করেছেন, জিজ্ঞাসা করা হল। এ সময় আপনি যদি কোনোকিছু মনে করতে না পারেন, তাহলে আপনি একটি সুযোগ হারালেন। আর যদি এ সময়ে আপনার করা পড়াশোনা, চাকরি ও বিভিন্ন অভিজ্ঞতার সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয় বর্ণনা করেন, তাহলে তা হবে চাকরির দিকে একধাপ অগ্রগতি।
প্রত্যেক প্রশ্নের উত্তর যত্নের সঙ্গে দেওয়াটা ইন্টারভিউতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধরুন, আপনাকে কোনো একটি মাসে বা বছরে কী করেছেন, জিজ্ঞাসা করা হল। এ সময় আপনি যদি কোনোকিছু মনে করতে না পারেন, তাহলে আপনি একটি সুযোগ হারালেন। আর যদি এ সময়ে আপনার করা পড়াশোনা, চাকরি ও বিভিন্ন অভিজ্ঞতার সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয় বর্ণনা করেন, তাহলে তা হবে চাকরির দিকে একধাপ অগ্রগতি।
৯. প্রশ্ন করুন
ইন্টারভিউতে বেশিরভাগ সময় জিজ্ঞাসা করা হয় আপনার কোনো প্রশ্ন আছে কি? সে সময় অধিকাংশই ‘না’ বলে দেন। না বলার চেয়ে প্রতিষ্ঠানের কোনো বিষয়ে প্রশ্ন করাই ভালো। কী প্রশ্ন করবেন তা নিহিত আছে ইন্টারভিউয়ের মধ্যেই। ইন্টারভিউয়ের ভিত্তিতেই কোনো বিষয়ে প্রশ্ন করা ভালো। এতে আপনি যে সম্পূর্ণ ইন্টারভিউটি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন, তা বোঝাতে পারবেন।
ইন্টারভিউতে বেশিরভাগ সময় জিজ্ঞাসা করা হয় আপনার কোনো প্রশ্ন আছে কি? সে সময় অধিকাংশই ‘না’ বলে দেন। না বলার চেয়ে প্রতিষ্ঠানের কোনো বিষয়ে প্রশ্ন করাই ভালো। কী প্রশ্ন করবেন তা নিহিত আছে ইন্টারভিউয়ের মধ্যেই। ইন্টারভিউয়ের ভিত্তিতেই কোনো বিষয়ে প্রশ্ন করা ভালো। এতে আপনি যে সম্পূর্ণ ইন্টারভিউটি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন, তা বোঝাতে পারবেন।
১০. মরিয়া হবেন না
ইন্টারভিউতে যদি আপনার কথাবার্তায় মনে হয়- ‘প্লিজ, প্লিজ, আমাকে চাকরিটি দিন’ তাহলে আপনাকে নিঃসন্দেহে কম আত্মবিশ্বাসী মনে হবে। এতে আপনার চাকরির সম্ভাবনাও বাড়বে না। আপনি যদি চাকরিটির জন্য উপযুক্ত হন, তাহলে নিজের আচরণের মাধ্যমে ইন্টারভিউয়ারদের তা বিশ্বাস করানোর দায়িত্ব আপনার।
ইন্টারভিউতে যদি আপনার কথাবার্তায় মনে হয়- ‘প্লিজ, প্লিজ, আমাকে চাকরিটি দিন’ তাহলে আপনাকে নিঃসন্দেহে কম আত্মবিশ্বাসী মনে হবে। এতে আপনার চাকরির সম্ভাবনাও বাড়বে না। আপনি যদি চাকরিটির জন্য উপযুক্ত হন, তাহলে নিজের আচরণের মাধ্যমে ইন্টারভিউয়ারদের তা বিশ্বাস করানোর দায়িত্ব আপনার।