শেহের জাহান রশ্নি
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষিত হয়েছে ১৮ আগস্ট দুপুর দুইটায়। সবারই মনে ছিল ভয়ের কালো মেঘ। কিন্তু ভয় কাটেনি সবার। পাস ৭৪% হলেও কেঁদেছে অনেকেই। এ বছর পাসের হার বেড়েছে। কিন্তু ফেলের হারও বেড়েছে এমনটা কেউ বলেনি।
এই ফেল মানে পরীক্ষায় ফেল নম্বর পাওয়া নয়। এই ফেল হলো স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্যে আবেদন করার মতো নম্বর না পাওয়া। গত বছর মেডিক্যালের জন্যে যে পয়েন্ট লাগতো এবার তা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
প্রশ্নফাঁস হয়েছিল এবারও। বরাবরের মতোই। তাই জিপিএ ৫-এর সংখ্যাটা বেড়েছে। তবুও তাদের মধ্যে মেডিক্যালে চান্স পাবে হাতে গোনা কিছু। আর অধিকাংশই পাবে গতবারের উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা। কারণ তারা এক বছর ভালোভাবে রপ্ত করেছে বইয়ের প্রতিটি পাতা।
তবে যারা এক বছর গ্যাপ দিতে চাও না তাদের বলছি। তুমি জিপিএ-৫ না পেলেও চিন্তা নেই। যদি তুমি প্রস্তুতিটা ভালো করে নাও। ইংলিশে একটা প্রবাদ আছে – There is no Elevator to success.
সাফল্য কোনো হাতের মোয়া না যে, চাইলে আর টাকা দিয়ে কিনে নিলে। সফলতা অর্জন করতে হয়। আর এ সফলতার কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। আল্লাহ যখন চাইবেন তুমি তখনি পেতে পার। এ জন্য শুধু দরকার চেষ্টা।
আজ থেকে যদি তুমি ১৮ ঘন্টা করে পড়, তাহলে ওই জিপিএ-৫ পাওয়া ছেলে বা মেয়েটি যে খুশিতে উড়ছিল তাকে তুমি দেখিয়ে দিতে পারবে।
মানুষের অসাধ্য কিছু নেই। মানুষ তার ব্রেইনের মাত্র ১৫% কাজে লাগে। তাই চেষ্টা করলে তুমিও পারবে। শুধু ব্রেইনটাকে ঘষে মেজে চকচকে করতে হবে। তার জন্য দরকার কঠোর অনুশীলন। তুমি চেষ্টা করলে ভাগ্য কখনওই তোমাকে পরিহাস করবে না।
তুমি জন্মেছ চ্যাম্পিয়ন হয়ে। শুধু ভুলে গেছ তোমার অতীতটা। আমি মনে করিয়ে দিতে চাই। মায়ের গর্ভে তুমি দশ মাস যুদ্ধ করে এই দুনিয়ায় এসেছ। ১,৪০,৪০০টি স্পার্ম তোমাকে আটকাতে পারেনি। তুমি আছাড় খেতে খেতে হাটতে শিখেছ। তুমি চ্যাম্পিয়ন ছিলে চ্যাম্পিয়ন আছ। তাই তোমার বাবা মা আজও তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে।
বাবা মায়ের স্বপ্নপূরণ করো চ্যাম্পিয়ন। জিতে নাও তোমার জায়গা। আজ থেকেই শুরু করো যুদ্ধ। তোমাকেই তোমার জায়গা বেছে নিতে হবে।
আমি জানি তুমি হারবে না। তুমি চ্যাম্পিয়ন…।