সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অধীনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (পার্বত্য তিন জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ছাড়া) তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৩) আওতায় প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য সৃষ্ট মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩৪৪০ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। ইতোমধ্যে অনলাইনে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অনলাইনে আবেদনের শেষ তারিখ : ৩০ জুন ২০১৬ রাত ১১.৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

আবেদনের যোগ্যতা : পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণীর স্নাতক পাস। মহিলা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএসহ উচ্চমাধ্যমিক পাস।

বয়সসীমা : ৩০ জুন ২০১৬ তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৩০-৩২ বছর (মুক্তিযোদ্ধা অথবা শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যার ক্ষেত্রে ৩২ বছর। মুক্তিযোদ্ধার প্রতিবন্ধী পুত্র-কন্যা বা মুক্তিযোদ্ধার প্রতিবন্ধী নাতি-নাতনীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনীদের ক্ষেত্রে বয়স সর্বোচ্চ ৩০ বছর হতে হবে)।

যেসব জেলার বর্ণিত উপজেলার বা থানার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না : চাঁপাইনবাবগঞ্জ : গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট। নাটোর : লালপুর। রাজশাহী : বাঘা। কুষ্টিয়া : দৌলতপুর, ভেড়ামারা। মাগুরা: শ্রীপুর। নেত্রকোনা: কলমাকান্দা ও কেন্দুয়া। টাঙ্গাইল: ঘাটাইল। রাজবাড়ী: পাংশা। শরীয়তপুর: ডামুড্যা। ময়মনসিংহ: ভালুকা, তারাকান্দা। কিশোরগঞ্জ: তারাইল। ঢাকা: মোহাম্মদপুর, রমনা ও ডেমরা। ফরিদপুর: নগরকান্দা, মধুখালী। জামালপুর: মাদারগঞ্জ। লক্ষ্মীপুর: রামগতি, কমলনগর। চট্টগ্রাম: কোতোয়ালি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া: কসবা। নোয়াখালী: সুবর্ণচর। পঞ্চগড়: দেবীগঞ্জ। কুড়িগ্রাম: চিলমারী ও ফুলবাড়ী। ভোলা: লালমোহন। সুনামগঞ্জ: সদর, দোয়ারাবাজার।

যেভাবে আবেদন করতে হবে : অনলাইনে http://dpe.teletalk.com.bd অথবা www.dpe.gov.bd ওয়েবসাইটে লগ ইন করলে একটি লিংক পাওয়া যাবে। এই লিংকে প্রবেশ করে নির্দেশনা মোতাবেক অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করে সাবমিট করার পর অ্যাপ্লিকেশন কপি প্রিন্ট করতে হবে। অ্যাপ্লিকেশন কপি প্রিন্ট করার পর প্রয়োজনে একাধিকবার পড়ে নিতে হবে। আবেদনপত্রে কোনো ভুল হলে পুনরায় আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। সঠিকভাবে আবেদন ফরম পূরণ শেষে অ্যাপ্লিকেশন কপির প্রাপ্ত ইউজার আইডি ব্যবহার করে পরীক্ষার ফি জমা দিতে হবে। একবার আবেদন ফি জমা দেয়ার পর অ্যাপ্লিকেশন ফরম কোনো অবস্থাতেই সংশোধন বা প্রত্যাহার করা যাবে না। শুধু ইউজার আইডিপ্রাপ্ত প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে টেলিটক মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমে ফি বাবদ ১৬৬.৫০ টাকা জমা দিতে হবে। আবেদনকারীকে একটি ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দেয়া হবে। এই ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড প্রার্থীকে সংরক্ষণ করতে হবে। অনলাইনে আবেদন এবং পরীক্ষার ফি জমা দেয়ার বিস্তারিত নিয়ম ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

পরীক্ষা পদ্ধতি : সহকারী শিক্ষক পদে এর আগে ৮০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষা ও ২০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হতো। বাংলা গণিত, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন থাকত। তবে এবারের নিয়োগ পরীক্ষায় কত নম্বরের পরীক্ষা হবে, বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এসব পরীক্ষার তারিখ পরে অধিদফতরের ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে বলে অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে।

যেসব কাগজপত্র জমা দিতে হবে : প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আবেদনপত্রের সাথে অনলাইনে দাখিলকৃত আবেদনের ফটোকপি, পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি, প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড সরকারি কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত শিক্ষাগত যোগ্যতা-সম্পর্কিত সব মূল বা সাময়িক সনদ এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা পৌরসভার মেয়র বা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিতে হবে।

পরীক্ষাপ্রস্তুতি : বাংলা অংশে ব্যাকরণ এবং সাহিত্য থেকে প্রশ্ন আসে। ব্যাকরণ অংশের জন্য নবম-দশম শ্রেণীর বোর্ডের ব্যাকরণ বই, সাহিত্যের জন্য বোর্ড বইয়ের গদ্য ও পদ্যের লেখক পরিচিতি, কবি পরিচিতি পড়তে হবে। ইংরেজিতে Translation, গ্রামারে Tense, Preposition, Parts of Speech, Voice, Narration, Right forms of verb থেকে প্রশ্ন আসে। গণিতে পাটিগণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতি থেকে প্রশ্ন আসে। অষ্টম ও নবম-দশম শ্রেণীর গণিত বইয়ের অঙ্কগুলো অনুশীলন করতে হবে। সাধারণ জ্ঞান-বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও ঘটনাসমূহ পড়বেন।

বেতন স্কেল : জাতীয় বেতন-স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বেতন-স্কল ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা ও প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষকদের বেতন স্কেল ৯৭০০-২৩৪৯০ টাকা।

ক্যারিয়ার, ট্রেনিং ও স্কলারশিপ সম্পর্কে
exclusive তথ্য পেতে ফেসবুক গ্রুপে
জয়েন করুন-

Career Intelligence | My Career Partner

Scroll to Top