পদসংখ্যা : ২৬২
অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডে সিনিয়র অফিসার পদের ২৬২টি পদে নিয়োগের নিমিত্তে প্যানেল প্রস্তুতির জন্য নিচের শর্তাধীনে বাংলাদেশী নাগরিকদের কাছ থেকে অনলাইনে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
অনলাইনে আবেদনের শেষ তারিখ : ২৮ জুন ২০১৬।
শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতকোত্তর বা সমমান অথবা চার বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রি থাকলে আবেদন করা যাবে। যেকোনো দু’টি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ বা শ্রেণী কিংবা সমমানের গ্রেড পয়েন্ট থাকতে হবে। কোনোপর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ বা সমমানের গ্রেড পয়েন্ট থাকলে গ্রহণযোগ্য হবে না। এসএসসি ও এইচএসসির ফলের ক্ষেত্রে জিপিএ ৩ বা তার বেশি প্রথম বিভাগ, জিপিএ ২ থেকে জিপিএ ৩-এর কম দ্বিতীয় বিভাগ এবং জিপিএ ১ থেকে জিপিএ ২-এর কম থাকলে তৃতীয় বিভাগ ধরা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিজিপিএর ক্ষেত্রে ৪-এর মধ্যে ৩ বা তার বেশি প্রথম বিভাগ, সিজিপিএ ২.২৫-এর বেশি কিন্তু সিজিপিএ ৩-এর কম দ্বিতীয় বিভাগ এবং সিজিপিএ ১.৬৫-এর বেশি, কিন্তু সিজিপিএ ২.২৫-এর কম তৃতীয় শ্রেণী ধরা হবে। ‘ও’ লেভেল ও ‘এ’ লেভেলের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড এবং বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির ক্ষেত্রে দেশীয় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ইস্যু করা সমমান সার্টিফিকেট অনুযায়ী ডিগ্রি ও ফলাফলের তথ্য দিতে হবে।
বয়সসীমা : ১-০৩-২০১৬ তারিখে প্রার্থীদের বয়স সর্বোচ্চ ৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর।
বেতন স্কেল : ২২০০০-৫৩০৬০/- (জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী) ও তার সাথে নিয়মানুযায়ী অন্যান্য সুবিধা দেয়া হবে।
আবেদনের নিয়ম : অনলাইনে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। কোনো ফি লাগবে না। আবেদনের আগে একটি ডিজিটাল ছবি অথবা স্ক্যান করা ছবি রাখুন। পাশাপাশি স্ক্যান করে রাখুন আপনার একটি সই। সব ধরনের তথ্য দেয়ার পর সংযুক্ত করতে হবে ছবি ও স্বাক্ষর। ৮০ কিলোবাইটের বেশি ছবি আপলোড করা যাবে না, রেজুলেশন হতে হবে ৬০০ ´ ৬০০। স্বাক্ষরের বেলায় রেজুলেশন হতে হবে ৩০০ ´ ৮০, সর্বোচ্চ সাইজ হবে ৬০ কিলোবাইট। তথ্য পূরণ করার পর দিতে হবে পাসওয়ার্ড। কোনো কোটার আওতাভুক্ত হলে ফরমে দেয়া অপশনে ক্লিক করতে হবে। সফলভাবে আবেদন ফরম পূরণ করা হলে দেয়া হবে একটি ট্র্যাকিং নম্বরযুক্ত ফরম। ফরমটি সংরক্ষণ করতে হবে। লিখিত পরীক্ষার সময় এটির দরকার হবে। লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের পর উত্তীর্ণ প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদনে উল্লিখিত তথ্যাদির সমর্থনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাওয়া হবে। এ নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটাসংক্রান্ত নীতিমালা ও অন্যান্য বিধিবিধান অনুসরণ করা হবে। বিবাহিত মহিলা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে স্বামীর স্থায়ী ঠিকানা ব্যবহার করতে হবে।
নিয়োগ পরীক্ষা : প্রার্থীদের এমসিকিউ, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি পত্রিকা ও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে তৈরি করা হবে মেধাতালিকা। নির্বাচিত প্রার্থীদের সেখান থেকে ডাকা হবে মৌখিক পরীক্ষায়। সরকারি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা বেশি হয়। তাই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে এখন থেকে। এ জন্য বিগত বছরের সব ধরনের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সমাধান করলে প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কাজে দেবে।
বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি : নিয়োগের ক্ষেত্রে এমসিকিউ পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণজ্ঞান থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। লিখিত পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি ও গণিত এ তিন বিষয়ের ওপর প্রশ্ন আসবে। বাংলা বিষয়ে ভাবসম্প্রসারণ, পত্রলিখন, ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ ও বাংলা ব্যাকরণের সাধারণ বিষয়গুলো থেকে প্রশ্ন থাকতে পারে। ইংরেজিতে গ্রামার, অনুবাদ, বাক্য তৈরি ও শুদ্ধকরণ, প্যারাগ্রাফ, কম্পোজিশন ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। গণিতে প্রশ্ন আসে পাটীগণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতি থেকে। বাংলা, গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে প্রস্তুতির জন্য নবম-দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যবই পড়বেন। সাধারণ জ্ঞানের জন্য সাধারণ জ্ঞানের বই, দৈনিক পত্রিকা পড়লেই হবে।
মৌখিক পরীক্ষা : মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীদের ২৫ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এমসিকিউ এবং লিখিত পরীক্ষায় পাস করার পর প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি জানিয়ে দেয়া হবে। এরপর প্রার্থীদের জমা দিতে হবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর বিশ্লেষণী ক্ষমতা, দক্ষতা, উপস্থাপনা, পোশাক দেখা হয়।
অনলাইনে আবেদন : আগ্রহী প্রার্থীদের বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট www.erecruitment.bb.org.bd-এ অনলাইন আবেদন ফরম পূরণের মাধ্যমে দরখাস্ত করতে হবে।